ক্রীড়া ডেস্ক
ব্রিস্টলে হতাশার যাত্রা শেষে টন্টনে বাংলাদেশ দল। সোমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই মাঠে খেলবে তারা। ১৯৯৯ ও ১৯৮৩ বিশ্বকাপেও এই মাঠে খেলা হয়েছে। দারুণ সব ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী ইংল্যান্ডের এ ভেন্যুটি। জ্যাক হবস, স্যার ডন ব্র্যাডম্যান, স্যার ভিভ রিচার্ডসের মতো কিংবদন্তী ক্রিকেটাররা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছেন এখানে।
ইংল্যান্ডের অন্য ভেন্যুর চেয়ে টন্টনের ভাগ্যটা নেহাত মন্দ। আজ অবধি এখানে কোন টেস্ট ম্যাচ হয়নি। সাধারণত কাউন্টি ক্রিকেটের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় টন্টনে। বিশ্বকাপ ছাড়া ওয়ানডে কোনো ম্যাচও আজ পর্যন্ত হয়নি সমারসেটের এ মাঠে।
১৮৮২ সালে এ ভেন্যু তৈরি হয়েছিল। অথচ আন্তর্জাতিক ম্যাচের দেখা পেয়েছে ১০১ বছর অপেক্ষার পর। এ মাঠের প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়ে ১৯৮৩ বিশ্বকাপে স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা। সে ম্যাচে লঙ্কানদের ৪৭ রানে হারিয়েছে ইংলিশরা। এ মাঠে সৌরভ গাঙ্গুলী ১৯৯৯ বিশ্বকাপে লঙ্কানদের বিপক্ষে ১৮৩ রান করেন, যা ওয়ানডেতে এ ভেন্যুর সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।
ক্রিকেটের জনক ডব্লিউ জি গ্রেস প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১২৫টি সেঞ্চুরি করেন। এই মাঠে জ্যাক হবস তাকে টপকে যান। পরবর্তীতে প্রথম শ্রেণিতে সর্বোচ্চ ১৯৯টি সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড গড়েন হবস। ১৮৯১ সাল থেকে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ম্যাচ হয় সমারসেটের এ ভেন্যুতে। ১৯৪৮ সালে স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের খেলা দেখতে রেকর্ড ১০ হাজার দর্শক উপস্থিত হয়েছিল টন্টনে। মেলবোর্ন ও করাচীর পর টন্টনেও দুইবার চারশ রানের ব্যক্তিগত ইনিংস দেখেছে।
এতো গেলো ক্রিকেটের ঐতিহ্যের কথা। রয়েছে ঐতিহ্যবাহী বেশ কিছু স্থাপনা। মাঠের প্যাভিলিয়নের পিছনে রয়েছে তিনটি প্রাচীন গির্জা। রোমান ক্যাথলেকদের গড়া এ তিনটির মধ্যে সবচেয়ে পুরনো সেন্ট জেমস চার্চ। পনের শতকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এটি। ষোড়শ শতকে প্রতিষ্ঠিত হয় সেন্ট মেরি চার্চ। সেন্ট জর্জ চার্চ নামে তৃতীয় চার্চটি প্রতিষ্ঠিত উনিশ শতকের।
ওডি/এনএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড