• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

আমিরের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং, ৩০৭ রানে অলআউট অস্ট্রেলিয়া

  ক্রীড়া ডেস্ক

১২ জুন ২০১৯, ১৯:২১
মোহাম্মদ আমির
মোহাম্মদ আমিরের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং (ছবি :সংগৃহীত)

৪২ ওভারে ৪ উইকেটে ২৭৭ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। এরপর মাত্র ৩০ রানে শেষ ৬ উইকেট হারায় অজিরা। এই দুরন্ত প্রত্যাবর্তন পাকিস্তান সম্ভবপর করেছে আমিরের পেসে। ১০ ওভারে ২ মেডেন দিয়ে ৩০ রানে পাঁচ উইকেট শিকার করেন বাঁহাতি পেসার। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটাই প্রথম পাঁচ উইকেট আমিরের।

ম্যাক্সওয়েল আগেই আউট হওয়ায় ফিনিশিংয়ে অজিরা চলে যায় ব্যাকফুটে। এক ওভার বাকি থাকতে ৩০৭ রানে অলআউট হয়েছে তারা, এক ওভারের খেলা বাকি থাকতে। শেষ সাত ওভারে মাত্র ৩০ রান স্কোরবোর্ডে জমা করেছে ফিঞ্চবাহিনী।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে দারুণ সূচনা করে অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপে ১৯৯৬ সালে আথারটন-রবিন স্মিথের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে ওপেনিং জুটিতে শতরান তুলে নেন অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। ফিঞ্চ-ওয়ার্নার জুটি থামলো ১৪৬ রানে।

ইনিংসের ১৩ ওভারে চতুর্থ বল, ফিঞ্চ ক্রিজে তখন ৩০ রানে। ওয়াহাব রিয়াজের বাউন্স বল স্লিপে ক্যাচ ছিলো, কিন্তু সহজ ক্যাচটিও ধরতে পারলেনা আসিফ আলি। তার খেসারত দিতে হয় পাকিস্তানকে। অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ নতুন করে শুরু করলেন নিজেকে। ৬টি বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ২৩তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন ফিঞ্চ। অস্ট্রেলিয়ার ওপেনিং জুটিতে এলো শতরান। এবারের আসরে এটাই অজিদের সেরা ওপেনিং জুটি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এ দুজন গড়েন ৯৬ রানের জুটি।

২৩তম ওভারে প্রথম সাফল্য পায় পাকিস্তান। মোহাম্মদ আমিরের বলে ক্যাচ তুলে দেন অজি আধিনায়ক। ৬টি চার ও ৪ ছক্কায় ৮৪ বলে ৮২ রান করে আউট ফিঞ্চ। ওয়ানডাউনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি স্টিভেন স্মিথ। ১০ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি। ব্যাটিং অর্ডারে নিচে নেমে এসে ম্যাক্সওয়েলের দায়িত্ব ছিল বড় ইনিংস খেলার। কিন্তু ঝড়ো ইনিংস খেলতে গিয়ে মাত্র ২০ রানে আউট তিনি।

অন্যপ্রান্তে ১১টি বাউন্ডারি ও এক ছক্কাতে ক্যারিয়ারের ১৫তম সেঞ্চুরি তুলে নেন ওয়ার্নার। ইংলিশ কন্ডিশনে ওয়ানডেতে এটাই ওয়ার্নারের প্রথম সেঞ্চুরি। এর আগে ইংল্যান্ডের মাটিতে সর্বোচ্চ ৯০ রান করেন তিনি। ১০৪ রানে একটা জীবন পেলেও ইনিংস বেশিদূর টানতে পারেন নি অজি ওপেনার। ১০৭ রানে তাকে ফিরতে হয় শাহীন আফ্রিদির বলে।

পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে ব্যতিক্রম ছিলেন পেসার আমির। অন্য বোলাররা যেখানে ওভারপ্রতি ৫.৫০ বা ৬ এর বেশি রান দেয়, সেখানে আমির ওভার প্রতি রান দেন তিন করে। শুরু থেকেই তারঁ বল খেলতে পারেনি অজিরা। ডেথ ওভারও ছিল একই চিত্র। ৩৩ ওভারে ২ উইকেটে ২১৮ রান তোলা অজিরা শেষ আট উইকেট হারায় ৮৯ রানের ব্যবধানে। পাকিস্তানের এই দুরন্ত পেস আক্রমণের নেতৃত্ব দেন আমির। ওয়ানডেতে আগে ২০০৯ সালে শ্রীরঙ্কার বিপক্ষে ২৮ রানে চার উইকেট ছিল তার সেরা বোলিং। দশ বছর পর বিশ্বকাপের মঞ্চে এবার ছাপিয়ে গেলেন নিজেকে। অথচ এই ইংল্যান্ডে টেস্ট খেলতে এসেই স্পট ফিক্সিয়ের দায়ে ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি।

ওডি/এনএ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড