• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১৯

বাংলাদেশ-দ.আফ্রিকা মুখোমুখি লড়াইয়ে কে এগিয়ে?

  ক্রীড়া ডেস্ক

০১ জুন ২০১৯, ১৭:১৮
ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১৯
ছবি : সংগৃহীত

ইনজুরিতে জর্জরিত বাংলাদেশ দল, আর উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের কাছে হেরে বিধ্বস্ত দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপের পঞ্চম ম্যাচে আগামীকাল মুখোমুখি হবে দুদল। ইংল্যান্ডের দ্য ওভাল ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৩টায় মাঠে গড়াবে ম্যাচটি।

আসন্ন বিশ্বকাপের আগে ওডিআইতে দুই দেশ মোট ২০ বার মুখোমুখি হয়। যার মধ্যে বিশ্বকাপেই তিনবার। মুখোমুখি লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত ১৬টি ম্যাচ জিতেছে প্রোটিয়ারা। বিপরীতে মাত্র ৪টি ম্যাচে জয় পায় বাংলাদেশ দল।

ওডিআইতে দুই দলের প্রথম দেখা ২০০২ সালের ৩ অক্টোবর। মাঠের লড়াইয়ে সেই ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৬৮ রানে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। আর সবশেষ মুখোমুখি ম্যাচটি ছিল ২০১৭ সালের ২২ অক্টোবর। লন্ডনে অনুষ্ঠতি সেই ম্যাচে ২০০ রানের বিশাল জয় তুলে নেয় প্রোটিয়ারা।

আসন্ন বিশ্বকাপের আগে আর তিন বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ২০০৩ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যাবধানে হারায় বাংলাদেশকে। সেবার ৩৫.১ ওভারে ১০৮ রানেই ঘুটিয়ে যায় টাইগাররা। জবাবে মাত্র ১২ ওভারেই জয়ের প্রান্তে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।

২০০৭ বিশ্বকাপে ফের মুখোমুখি হয় দুদল। আর সেবার প্রতিশোধের সাথে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। মোহাম্মদ আশরাফুলে ব্যাটিং নৈপুণ্যে প্রোটিয়াদের ৬৭ রানে হারায় টাইগাররা। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন আব্দুর রাজ্জাক।

দু দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে দলগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস প্রোটিয়াদের। ২০১৭ তে ইস্ট লন্ডন মাঠে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৬৯ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। সে ম্যাচে ৩৭০ রান তাড়া করতে নেমে টাইগাররা গুটিয়ে যায় ১৬৯ রানেই, আফ্রিকানরা জয় পায় ২০০ রানের বিশাল ব্যবধানে।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ২৭৮/৭। মুশফিকুর রহীমের হার না মানা ১১০ রানের ইনিংসে সেদিন ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭৮ রান তোলে বাংলাদেশ। অবশ্য সেই ম্যাচ ১০ উইকেটে জিতে নেয় প্রোটিয়ারা।

দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে সর্বোচ্চ উইকেট প্রোটিয়া পেসার কাগিসো রাবাদার। ২০১৫ সালে ঢাকার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে নিজের অভিষেক ওয়ানডেতে ৮ ওভারে ১৬ রান দিয়ে চার উইকেট শিকারে করেছিলেন তিনি। টাইগারদের বিপক্ষে তার ওয়ানডে উইকেট সংখ্যা ১৩টি।

বিশ্বকাপের লড়াইয়ে সবশেষ বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা মুখোমুখি হয় ২০১১ বিশ্বকাপে। ঢাকা অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে স্বাগতিক বাংলাদেশকে ২০৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হারায় প্রোটিয়ারা। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৮৪ রান করে আফ্রিকা। জবাবে ২৮ ওভারে ৭৮ রান তুলতেই অলআউট হয় বাংলাদেশ দল। লজ্জার হার নিয়ে বিদায় নিতে হয় বিশ্বকাপ থেকে।

আসন্ন বিশ্বকাপে দুই দলই নিজেদের শক্তিশালী দল নিয়ে মুখোমুখি হবে। এবার দেখার বিষয় বাংলাদেশ কি ফের প্রতিশোধ নিবে নাকি আবারও পরাজয়ের সংখ্যাটা বৃদ্ধি করবে?

ওডি/এসএম/এএপি