• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি বিশ্বকাপ না জয়ী দুদেশ

  ক্রীড়া ডেস্ক

৩০ মে ২০১৯, ১০:১০
ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১৯
ছবি : সংগৃহীত

লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসের সামনে বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়ে গেলো। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ইংল্যান্ডের মাটিতে আয়োজক দেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে এবারের বিশ্বকাপ। লন্ডনের কেনিংটন ওভালে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুদল। বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে তিনটায় ম্যাচটি শুরু হবে।

বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট ইংল্যান্ড ও শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে মজার একটি মিল রয়েছে, দুই দলের মধ্যে সব থেকে বড় মিল হলো কেউই এখনো বিশ্বকাপ জেতেনি! ইংলিশদের অধিনায়কত্ব করবেন ইউইন মরগান ও আফ্রিকার দলনেতা ফ্যাফ ডু প্লেসি। এই দুজনের সামনেই লক্ষ্য বিশ্বকাপ না জয়ের ইতিহাস বদলের। দুই দলই চাইবে শুরুটা জয় দিয়েই করতে।

কাগজে-কলমে এবং নিজেদের কন্ডিশনের কারণে ইংল্যান্ড থাকবে অনেকটা এগিয়ে। তবে ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আশা করাই যায়। বিশ্বকাপের ইতিহাসে আজকের ম্যাচের আগে পর্যন্ত ইংলিশরা আফ্রিকার সঙ্গে খেলছেন ৬ বার। যেখানে দুদলেরই জয় সমান।

এবারের বিশ্বকাপে ইংলিশদের লক্ষ্য নিজেদের মাঠে নতু‌ন ইতিহাস তৈরি করা। বিশেষজ্ঞরাও ইংল্যান্ডকেই ফেভারিট হিসেবে মেনে নিচ্ছেন। প্রথম বিশ্বকাপ জিততে মরিয়া ইংলিশরা। আইসিসির ওডিআই র‍্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দলটির জন্য বড় সুবিধে হলো ঘরের মাঠে খেলা।

এদিকে প্রোটিয়ারাও চাইবে ভাল খেলে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিতে। দারুণ খেলেও বার বার হারতে হয়েছে। বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পর্যায়ে তেমন কোনো সাফল্য নেই তাদের।

তবে বিশ্বকাপ শুরুর আগে স্বাগতিকদের জন্য চিন্তার কারণ ছিল ইনজুরি সমস্যা। ইংলিশ কাপ্তান মরগানের ইনজুরি ছিল বড় দুশ্চিন্তা। কিন্তু সেটি কাটিয়ে এই ম্যাচ দিয়ে ফিরছেন তিনি। ভাগ্য ভালোই বলতে হবে ইংলিশদের, কারণ দলের প্রায় সবাই এখন পুরো ফিট।

অন্যদিকে আফ্রিকার বড় দুশ্চিন্তা দলের মূল পেসার অভিজ্ঞ ডেল স্টেইনের ইনজুরি! ইংলিশদের বিপক্ষে অনিশ্চিত স্টেইন নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষেও হয়ত খেলতে পারবেন না! তবে দলটির বড় স্বস্তি ওপেনার হাশিম আমলার ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত।

মূল মঞ্চে লড়াইয়ের আগে দুটি করে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছেন তারা। যেখানে আফ্রিকানরা একটি ম্যাচ জিতলেও অন্য ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে বাতিল হয়। এদিকে, ইংলিশরা নিজেদের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারায় তারা।

এছাড়া সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় প্রোটিয়াদের থেকে ইংলিশরাই এগিয়ে। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর এখন পর্যন্ত ৮৮ ম্যাচে ৫৮ জয় নিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে মরগানের দল। অন্যদিকে গত বিশ্বকাপের পর দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ খেলেছে ৭৪টি। যার মধ্যে জয় ৪৭টি। জয়-হারের দিক দিয়ে ইংল্যান্ড প্রথম অবস্থানে এবং আফ্রিকা তৃতীয়।

এবারের আসরে ব্যাটিংয়ে ইংলিশদের সব থেকে বড় ভরসা জেসন রয়, জনি বেয়ারস্টো, জো রুট, মরগান ও জস বাটলাররা। শেষ বিশ্বকাপের পর ইংল্যান্ড ব্যাটিংকে একটা উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে তারা। সেরা সাত ব্যাটসম্যানের মধ্যে রয়েছেন তারা। সদ্য শেষ পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-০তে জিতেছে তারা। সব শেষ এই সিরিজেই দেখা মিলিছে ইংলিশ ব্যাটাররা কতটা ফর্মে আছে। সুতরাং যেকোনো ম্যাচে চোখের পলক ফেলার আগেই খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে ইংলিশদের ব্যাটিং লাইনআপ।

অন্যদিকে, আফ্রিকানদের বিশ্বকাপ ইতিহাস বেশ হৃদয়বিদারক। এখন পর্যন্ত চারবার সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছে তাদের। এবার তারাও রয়েছে নজরে। আফ্রিকার অধিনায়ক ডু প্লেসিস এবার পাচ্ছে‌ন না এবি ডি ভিলিয়ার্সকে (অবসর নিয়েছেন তিনি)। তবে তাদের এবার ভরসা দেবেন কুইন্টন ডি কক। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে স্টেইনের অনুপস্থিতিতে এই ম্যাচে সবাই তাকিয়ে থাকবেন কাগিসো রাবাদার দিকে।

ওডি/এএপি