• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৪ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

স্বামীকে ৭ টুকরো, স্ত্রীসহ ৪ জনের ফাঁসি

  অধিকার ডেস্ক

২৩ মে ২০১৯, ১৭:৩৬
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি
মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। (ছবি : সংগৃহীত)

তালাকের পরও স্ত্রীকে বিরক্ত করায় সাবেক স্বামী মনির হোসেনকে হত্যার পর কেটে সাত টুকরো করার মামলায় নিহতের সাবেক স্ত্রীসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ও বিশেষ দায়রা আদালতের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, নিহত মনির হোসেনের তালাক দেওয়া স্ত্রী স্বর্ণা আক্তার কাকলী ওরফে নীপা (২৭), নীপার স্বামী মো. শরিফ মাতুব্বর ওরফে শরীফ (৩২), শরীফের বন্ধু আনোয়ার হোসেন মোল্লা ওরফে গ্রাম সরকার (৩৮) ও মো. ইব্রাহিম খলিল (২৭)।

শরীফ ও ইব্রাহিম দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে পলাতক। রায় ঘোষণার সময় নীপা ও আনোয়ার উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি আবু আব্দুল্লাহ ভূঞা।

২০১৩ সালের ১৮ এপ্রিল কামরাঙ্গীরচর থানার মুন্সিহাট নদীর পাড় থেকে পুলিশ মনির হোসেনের সাত খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় পর দিন ১৯ এপ্রিল নিহতের স্ত্রী হাসিনা বেগম একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলায় গ্রেফতার হয়ে আসামি আনোয়ার, নীপা ও শরীফ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

নীপা তার স্বীকারোক্তিতে জানান, ২০০৯ সালে বান্ধবি রিতার মাধ্যমে মনিরের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে মনিরকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর তিনি জানতে পারেন, মনিরের আগের স্ত্রী ও সন্তান আছে। বিয়ের পর থেকে মনির নীপার ওপর অত্যাচার ও নির্যাতন করার কারণে তিনি মনিরকে তালাক দিয়ে শরীফ নামের এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন। কিন্তু তালাকের পরও মনির নীপাকে বিরক্ত করায় ২০১৩ সালের ১৭ এপ্রিল তিনি মনিরকে হুজুর পাড়া রোডের ভাড়া বাসায় ডেকে আনেন। বাসায় আসার পর আসামি ইব্রাহিম মনিরকে বেঁধে ফেলেন। অপর আসামি আনোয়ার বালিশ চাপা দেন এবং নীপা মুখ চেপে ধরে আর শরীফ গলায় ছুরি চালিয়ে দুই ভাগ করে ফেলেন। পরে মনিরের লাশ আরও ছয় টুকরো করে কামরাঙ্গীরচর থানার মুন্সিহাট নদীর পাড়ে লাশ ফেলে রাখেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড