নিজস্ব প্রতিবেদক
অর্থের বিনিময়ে অনৈতিকভাবে রায় পরিবর্তন করার অভিযোগ উঠেছে হাইকোর্টের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। অভিযোগটি করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে এক মামলার শুনানির আগ মুহূর্তে অভিযোগটি করেন তিনি।
রাষ্ট্রের প্রধান এ আইন কর্মকর্তা জানান, ন্যাশনাল ব্যাংকের ঋণ সংক্রান্ত এক রিট মামলায় অবৈধভাবে ডিক্রি জারি করে রায় পরিবর্তন করা হয়েছে। আর এটি করেছেন বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী।
উদ্বেগ প্রকাশ করে আপিল বিভাগ বলেন, হাইকোর্ট এভাবে আদেশ দিতে পারেন না। নজিরবিহীন ঘটনা এটা। এমন আদেশ হলে সুপ্রিম কোর্ট টিকবে না। এ রায় কত অর্থের বিনিময়ে হয়েছে, সেটা আমাদের জানান। এমন হলে হাইকোর্টের ব্যাপারে সাধারণ মানুষের ভাবনা কী হবে?
এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বিষয়টি খুবই সিরিয়াস। রাষ্ট্রপতির নিকট বিষয়টি যাওয়া উচিত। এ বিচারপতিকে তার দায়িত্ব থেকে দূরে রাখা উচিত হবে।
উপস্থিত জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, এ আদেশ কীভাবে দিলেন, এ ব্যাপারে তাকে কারণ দর্শাতে হবে।
মাহবুবে আলম বলেন, বিচারপতি অপসারণ সংক্রান্ত ষোড়ষ সংশোধনী উচ্চ আদালতে বাতিল হওয়ায় এবং ওই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন আপিল বিভাগে বিচারাধীন থাকায় বিচারপতিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার কোনো ফোরাম নেই।
তখন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ বলেন, আমরা অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্যকে সমর্থন করি। আমরা মনে করি বিচার বিভাগের মর্যাদা রক্ষার জন্য যে বেঞ্চের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
শুনানি শেষে আপিল বিভাগ নিম্ন আদালতের ডিক্রি জারি সংক্রান্ত সকল আদেশ বাতিল করেন। একইসঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংকের আদেশ মঞ্জুর করে এম আর ট্রেডিংয়ের মিজানুর রহমানকে এক কোটি টাকা জরিমানা করেন আদালত।
পরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এএফ হাসান আরিফ সাংবাদিকদের বলেন, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আমিসহ আরও দুজন ও বারের সভাপতি সেখানে ছিলাম। আমরা সবাই এটার সমর্থন জানিয়েছি। এটার ব্যাপারে আপিল বিভাগও সংক্ষুব্ধ। এ ধরনের রায়ে আদালতের মর্যাদা ব্যাহত হয়, ক্ষুণ্ণ হয়। সেই প্রেক্ষিতে আমরা আদালতের কাছে আবেদন রেখেছি। বিষয়টি রাষ্ট্রপতির কাছে হোক বা আদালত যেভাবে বিবেচনা করে সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমরা প্রার্থনা করেছি।
এ মামলার শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন- খন্দকার মাহবুব হোসেন, ফিদা এম কামাল, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এএফ হাসান আরিফ ও রোকন উদ্দিন মাহমুদসহ বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী।
ওডি/ এমআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড