রিমান্ড শেষে ধানের শীষের প্রার্থী অপু কারাগারে

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক এপিএস ও শরীয়তপুর-৩ আসনে বিএনপির এমপি প্রার্থী মিয়া নূরুদ্দীন আহম্মেদ অপুকে অর্থপাচার ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) ৫ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অপুকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে জেল হাজতে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দে শ দেনদেন।

এর আগে ১০ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) তারেকের সাবেক এপিএস অপুকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম। অপরদিকে অপুর আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারী জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন- মতিঝিল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ পরিদর্শক জালাল উদ্দিন। তিনি বলেন, অপু অসুস্থ থাকায় বর্তমানে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তিনি সুস্থ হলে রিমান্ডে নেওয়া হবে।

মিয়া নুর উদ্দিন আহমেদ অপু গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে শরীয়তপুর-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত এমপি প্রার্থী ছিলেন।

৪ জানুয়ারি (শুক্রবার ) রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গ্রেফতার করে র‌্যাব-১ এর সদস্যরা। গ্রেফতারের পর তিনি সেখানেই র‌্যাবের পাহারায় চিকিৎসাধীন ছিলেন।

গত ২৫ ডিসেম্বর মতিঝিল সিটি সেন্টারের ২৭ তলার ইউনাটেড করপোরেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ৮ কোটি টাকা উদ্ধার করে র‍্যাব। ওই ঘটনায় মতিঝিল থানায় একটি মানি লন্ডারিং মামলা করে র‍্যাব। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাবের ওই অভিযানে কথিত আমদানি-রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড কর্পোরেশনের এমডি আলী হায়দার, গুলশানের আমেনা এন্টার প্রাইজের জিএম (এডমিন) জয়নাল আবেদিন ও অফিস সহকারী আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।