অধিকার ডেস্ক ১৮ নভেম্বর ২০১৮, ১৮:৩৫
চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালাস চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেছেন।
রবিবার (১৮ নভেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিলটি দায়ের করেন তার আইনজীবীরা।
এ সময় খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ৬৩৮ পৃষ্ঠার মূল রায়সহ প্রায় ৭০০ পৃষ্ঠার এই আপিলের সঙ্গে জামিনের আবেদনও রয়েছে। এই মামলায় অবৈধ ও অন্যায়ভাবে বিএনপি চেয়ারপারসনকে জেল-জরিমানা করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আপিল করে সাজা বাতিল ও খালাস চাওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের কোনো একটি বেঞ্চে আপিলটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে।
খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী ব্যারিস্টার নওশাদ জমির জানান, ‘নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে এ আপিল দায়ের করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার খালাস চাওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, চ্যারিটেবল ট্রাস্টটি একটি প্রাইভেট ট্রাস্ট। এটা সরকারি কোনো ট্রাস্ট ছিল না। এছাড়া এ মামলায় ক্ষমতা অপব্যবহারের যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটাও সত্য নয়। আপিলে ২০ থেকে ২২টি গ্রাউন্ডে খালাস চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে স্থাপিত অস্থায়ী ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। পরে গত বুধবার (১৪ নভেম্বর) বিকালে ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালত থেকে ৬৩২ পৃষ্ঠার রায়ের সার্টিফায়েড কপি বুঝে নেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া।
প্রসঙ্গত, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২জন সাক্ষী। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় সংস্থাটি।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড