আদালত প্রতিবেদক
ফের পেছাল মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যা মামলার রায়। আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করা থাকলেও মডেল তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুব করিম ও চাচা সৈয়দ রেজাউল করিমের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন না হওয়ায় রায়ের তারিখ পেছান হয়।
সোমবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা জজ কেশব রায় চৌধুরীর আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আবেদন করেন তারা। পরে আদালত তাদের আবেদন মঞ্জুর করেন। মামলার রায় ঘোষণা থেকে উত্তোলন করে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ (১৫ নভেম্বর) ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কেশব রায় চৌধুরী আদালতে এ রায় ঘোষণা করার কথা ছিল। এর আগে গত ২৬ অক্টোবর একই আদালতে রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। সেই দিন বিচারক রায় ঘোষণা না করে ১৫ নভেম্বর নতুন দিন ধার্য করেন।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাতে খুন হন তিন্নি। তার চারদিন আগে ৬ নভেম্বর তিন্নিকে তার স্বামী সাক্কাত হোসেন পিয়ালের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য করেন অভি। তিন্নিও তাকে তালাক দেন। সেই দিনই পিয়ালকে তার দেড় বছর বয়সী কন্যাসন্তানসহ রাজধানীর বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর বিয়ে করার জন্য অভিকে চাপ দিতে থাকেন তিন্নি। একপর্যায়ে তিন্নি এই বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দেন।
১০ নভেম্বর রাতে মাথায় আঘাতের মাধ্যমে খুন করা হয় তিন্নি। এরপর লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ওই রাতেই বুড়িগঙ্গার ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ওপর থেকে নদীতে ফেলে দেওয়া হয় মরদেহ। তবে লাশ পানিতে না পড়ে, পিলারের উঁচু অংশে পড়ে। পরদিন সকালে মরদেহ ঘিরে উৎসুক জনতা ভিড় করে।
কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহালের পর ময়নাতদন্ত করে। মর্গে চারদিন রাখার পর ১৫ নভেম্বর অজ্ঞাত হিসেবে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয় তিন্নিকে।
এদিকে তিন্নির চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম কেরানীগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। মরদেহ উদ্ধারের দিন একই থানায় একটি হত্যা মামলা করেন থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. শফি উদ্দিন। অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের আসামি করা হয় মামলায়।
২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর মামলাটি চাঞ্চল্যকর হিসেবে এর তদন্তভার সিআইডিতে ন্যস্ত হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের এএসপি মোজাম্মেল হক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে ৪১ জনকে সাক্ষী করা হয়। এছাড়াও এ মামলায় ২২টি আলামত জব্দ করা হয়।
২০১০ সালের ১৪ জুলাই ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তিন্নি হত্যা মামলায় আসামি অভির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
ওডি/নিমি
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড