দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণ: সাফাতসহ পাঁচজনের রায় ২৭ অক্টোবর

রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ২ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আপন জুয়েলার্সের কর্ণধার দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ ৫ আসামির মামলার রায় পিছিয়ে ২৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) ঢাকার এই মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালতে রায়ের জন্য দিন ধার্য ছিল।

তবে এদিন অসুস্থতার কারণে বিচারক ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক আল মামুন রায়ের তারিখ পিছিয়ে ২৭ অক্টোবর নির্ধারণ করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওই ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহমেদ (অরেঞ্জ) এ তথ্য জানান।

মামলার অপর আসামিরা হলেন সাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিম, সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন। মামলার পাঁচ আসামিই জামিনে ছিলেন। গত ৩ অক্টোবর তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

৩ অক্টোবর এই মামলায় রাষ্ট্র এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ১২ অক্টোবর দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।

২০১৮ সালের ১৩ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। চলতি বছর ২২ আগস্ট মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। চার্জশিটভুক্ত ৪৭ সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

২০১৭ সালের ২৮ মার্চ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে অস্ত্রের মুখে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৬ মে বনানী থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

২০১৮ সালের ৭ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন।

আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু

অভিযোগপত্রে আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় সরাসরি ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়। অপর আসামি সাদমান সাকিফ, রহমত আলী ও বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে ওই আইনের ৩০ ধারায় ধর্ষণের সহযোগিতার অভিযোগ করা হয়।

ওডি/আজীম