রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলার রায় ১২ অক্টোবর

রাজধানীর বনানীর ‘দ্য রেইনট্রি’ হোটেলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় আলোচিত মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আগামী ১২ অক্টোবর।

রবিবার (৩ অক্টোবর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম কামরুন্নাহারের আদালত উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুনানি শেষে আদালত আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ জনের জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠিয়েছেন এবং মামলার রায় ঘোষণার জন্য ওই দিন ধার্য করেছেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মামলার ৫ আসামি জামিনে ছিলেন। আজ সব আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের মে মাসে ২৮ মার্চ বন্ধুর সাথে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে বনানীর 'দ্য রেইনট্রি' হোটেলে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণের শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী। ওই ঘটনায় ৬ মে রাজধানীর বনানী থানায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, সাফাতের বন্ধু নাঈম আশরাফ (সিরাজগঞ্জের আবদুল হালিম) ও সাদমান সাকিফ, গাড়িচালক বিল্লাল ও অজ্ঞাতনামা একজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তারা। পরে সিলেট থেকে গ্রেফতার করা হয় সাফাত ও সাকিফকে। পরে অন্য আসামিদেরও গ্রেফতার করা হয়।

আদালত সূত্র জানায়, গত ১৩ জুলাই আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদসহ ৫ আসামির বিরুদ্ধে মামলায় চার্জ গঠন করেন আদালত। একই সাথে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২৪ জুলাই দিন ধার্য করা হয়।

সূত্র আরও জানায়, ঘটনার ৪০ দিন পর ওই দুই ছাত্রী গত ৬ মে সন্ধ্যায় বনানী থানায় ধর্ষণের অভিযোগে ওই ৫ জনকে আসামি এ মামলাটি দায়ের করেন। গত ৮ জুন ঢাকা মহানগর পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পুলিশ পরিদর্শক ইসমত আরা এমি তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটে ৪৭ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। সাফাত আহমেদ ছাড়া মামলার অপর আসামিরা হলো- সাফাতের দুই বন্ধু নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিম ও সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলী।

আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা নেতা হত্যায় বিদেশি সম্পৃক্ততা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে

চার্জশিটে আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। এ ছাড়া মামলার অন্য তিন আসামি সাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান সাকিফ, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে ওই আইনের ৩০ ধারায় ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়।

ওডি/আজীম