নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রায় ২০ বছর আগে ঢাকার লালবাগের কাচ ব্যবসায়ী আবদুল আজিজ চাকলাদার ওরফে ঢাকাইয়া আজিজকে হত্যার ঘটনায় মামলার রায় পিছিয়েছে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে এ মামলার রায়ের তারিখ ছিল। তবে রায় লেখা শেষ না হওয়ায় বিচারক ১ এপ্রিল নতুন দিন ঠিক করেন বলে আসামিপক্ষের আইনজীবী জানান।
আদালতের পেশকার মো. ফোরকান বলেন, আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ১৪ জানুয়ারি এ মামলা রায়ের পর্যায়ে আসে।
১৯৯৮ সালের ৫ মার্চ লালবাগ রোডের বাসা থেকে খুলনা যাওয়ার পথে আজিজ চাকলাদার নিখোঁজ হন। আজিজকে খুঁজে না পেয়ে তার ছোট ভাই বাচ্চু মিয়া লালবাগ থানায় একটি জিডি করেন। একই বছর ১৭ মার্চ মাকসুদ ও আমানুল্লাহ নামে দুইজনের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অপহরণ মামলা করেন।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, মাকসুদ ও আমানুল্লাহর সঙ্গে আজিজ চাকলাদার ভাঙা কাচের ব্যবসা করতেন। তারা আজিজের কাছে ব্যবসায়িক কারণে ২৫ হাজার টাকা পেতেন। টাকা লেনদেনের কারণে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। এ কারণে মাকসুদ ও আমানুল্লাহ তাকে অপহরণ করেন।
তদন্ত চলার সময় রূপসা নদী থেকে আজিজের মাথার খুলি ও হাড় উদ্ধার করা হয়। খালিশপুর থানার অন্য একটি মামলার জব্দ তালিকা থেকে এ তথ্য জানা যায় বলে এই মামলার নথিপত্রে উল্লেখ করা হয়।
ওই মামলায় ২০০০ সালের ৪ এপ্রিল লালবাগ থানার তৎকালীন এসআই আবদুর রাকিব খান দ্বিতীয় তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। খুলনার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারের নির্দেশে ঢাকাইয়া আজিজকে খুন করা হয় বলে সেখানে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগপত্রে মোট সাতজনকে আসামি করা হলেও মাকসুদ ও আমানুল্লাহকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
অভিযোগপত্রে থাকা আসামিরা হলেন- খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদার, ইদ্রিস জামাই, নূরে আলম, লস্কর মোহাম্মদ লিয়াকত, জামাই ফারুক, জয়নাল, রুস্তম আলী। এর মধ্যে কুখ্যাত সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারের অন্য মামলায় ২০০৪ সালের ১০ মে ফাঁসি কার্যকর করা হয়। অপর আসামি লস্কর মো. লিয়াকত বিচার চলার সময় মারা যাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
নূরে আলমকে রাষ্ট্রপক্ষ রাজসাক্ষী হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করে। ইদ্রিস ও জামাই ফারুক ২২ বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন। রুস্তম আলী ও জয়নাল পলাতক।
ওডি/এমআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড