• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

হাইকোর্টের কাঠগড়ায় বিয়ে, মুক্তি পাচ্ছে সেই ফিরোজ

  অধিকার ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১১:৫৩
কোর্ট
প্রতীকী ছবি

পারুল (ছদ্মনাম) ও ফিরোজের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এক সময় তাদের শারীরিক সম্পর্কে পারুলের গর্ভে আসে সন্তান। এই সন্তানের দায়িত্ব ফিরোজের পরিবার নিতে চায়নি বলে মামলা করা হয়।

২০১৫ সালে পঞ্চগড়ের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এ মামলার বিচার শেষে ফিরোজকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর দীঘদিন পর হাইকোর্টের কাঠগড়ায় বিয়ে করে কারাগার থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে সেই ফিরোজ।

জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৯ জানুয়ারি পারুলকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান ফিরোজ। কিন্তু ফিরোজের পরিবারের সদস্যরা নির্যাতন করে পারুলকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এমতাবস্থায় ওই বছরেরই ২৬ জানুয়ারি তেঁতুলিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় মামলা করেন পারুল।

মামলার বিচার চলাকালে ২০১৩ সালেই পারুল একটি কন্যাসন্তান জন্ম দেন। তার নাম দেন ফরিদা। আদালতের নির্দেশে ২০১৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে ডিএনএ টেস্ট করে দেখা যায়, ফিরোজেরই ঔরশজাত শিশু ফরিদা। তখনই আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাস কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে কন্যাসন্তান ফরিদার বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত প্রতি মাসে এক হাজার টাকা ভরণ-পোষণ বাবদ দেওয়ার জন্য ফিরোজের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ৩০ জুলাই হাইকোর্টে আপিল করেন ফিরোজ।

এই বিচারাধীন আপিলের সঙ্গে করা একটি জামিনের আবেদন সম্প্রতি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। গত ১৬ জানুয়ারি বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের বেঞ্চে এই আসামির জামিন আবেদনের শুনানি শুরু হয়।

শুনানিকালে আদালত বলেন, মেয়েটির সঙ্গে ফিরোজের বিয়ে দেওয়া হলে আসামি ফিরোজ জামিন পাবেন। ফিরোজের আইনজীবী মো. আবুল কালাম জানান, তার মক্কেল আদালতের প্রস্তাবে সম্মত আছেন। পরে আদালত আসামি ফিরোজকে ৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে হাজির করতে পঞ্চগড়ের জেল সুপারকে নির্দেশ দেন।

এ ছাড়া তার অভিভাবক, পারুল ও তার অভিভাবক, তাদের মেয়ে শিশুসন্তান ফরিদাকে একজন কাজীসহ হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী ৯ ফেব্রুয়ারি আসামি ফিরোজকে হাইকোর্টের কাঠগড়ায় হাজির করা হয়। হাজির হন ফিরোজ ও পারুলের অভিভাবকরা। কন্যাসন্তানটিকেও সেদিন আনা হয় হাইকোর্টে। সবাই হাজির হলে আদালত ফিরোজ ও পারুলের বিয়েতে কোনো আপত্তি আছে কিনা জানতে চান। তখন কোনো আপত্তি নেই জানিয়ে সম্মতি দিলে ৫ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে হাইকোর্টের কাঠগড়ায় বসেই বিয়ে করে পারুলকে স্ত্রীর স্বীকৃতি দেন ফিরোজ।

আরও পড়ুন : সাবেক রাজউক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

এর পর আদালত ফিরোজকে এক বছরের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফজলুর রহমান (এফআর) খান এবং আসামি ফিরোজের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আবুল কালাম।

ওডি/নূর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড