নিজস্ব প্রতিবেদক
সাংবাদিকদের সঙ্গে অশোভন আচরণের ঘটনায় অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে করা মানহানি মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়নি আদালতে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এ দিন মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআই প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এ কারণে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ মার্চ নতুন দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ২৪ অক্টোবর এ মামলায় শমী কায়সারের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান। ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করেন মামলার বাদী নুজহাতুল হাসান।
সেই নারাজি আবেদনের ওপর শুনানি শেষে গত ২৫ নভেম্বর একই আদালত অভিযোগটি পুনঃতদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন : দুদকের বাছিরকে কেন জামিন নয়, জানতে চায় হাইকোর্ট
গত ২৪ এপ্রিল রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটনবিষয়ক সাইট ‘বিন্দু ৩৬৫’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী শমী কায়সার। অনুষ্ঠানে বক্তব্য শেষ করে কেক কাটার সময়ই হঠাৎ করে তিনি জানান, তার স্মার্টফোন দুটি পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ফোন দুটিতে কল দিয়ে তখনো সচল পাচ্ছিলেন তিনি।
শমী কায়সারের এমন মন্তব্যের সঙ্গে সঙ্গেই মিলনায়তনের মূল প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় তার নিরাপত্তাকর্মী সবার দেহ তল্লাশি করতে চাইলে তাতে সম্মতি জানান উপস্থিত সংবাদকর্মীরা। তল্লাশির সময় অনেকে বের হতে চাইলে শমী কায়সার সাংবাদিকদের ‘চোর’ বলে ওঠেন। এতে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে আসা সাংবাদিকরা। এ ঘটনায় অনুষ্ঠানের আয়োজকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডাও হয় সাংবাদিকদের।
পরে সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, অনুষ্ঠানে কেক নিয়ে আসা লাইটিংয়ের এক কর্মী স্মার্টফোন দুটি নিয়ে গেছেন। ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ দেখার পর সাংবাদিকদের প্রতি ‘দুঃখ প্রকাশ’ করেন শমী কায়সার।
এ ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। ৩০ এপ্রিল ঢাকা মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেন স্টুডেন্টস জার্নাল বিডির সম্পাদক মিঞা মো. নুজহাতুল হাসান। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামির আচরণ বাদী ও দেশের সাংবাদিক সম্প্রদায়সহ সমাজের অন্য মহলের জন্য অত্যন্ত মানহানিকর ও অপমানজনক।
আসামির এ রকম আচরণ অনলাইনে প্রচারিত হওয়ায় বাদী ও সাংবাদিকদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। সাংবাদিকদের চোর আখ্যায়িত করে দেশ ও জাতির কাছে বাদীর ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন আসামি।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে রমনা থানার পরিদর্শককে (ওসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।
ওডি/টিএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড