নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় ধর্ষণের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) নারী ও শিশু আইনের ২২ ধারা অনুযায়ী ভিকটিমের জবানবন্দি গ্রহণ করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরা। আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে, শুক্রবার দুপুরের দিকে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক আবু সিদ্দিক ভিকটিম ঢাবি শিক্ষার্থীকে আদালতে হাজির করেন। তদন্ত কর্মকর্তা এ ঘটনায় নারী ও শিশু আইনে ২২ ধারা অনুযায়ী ভিকটিমের জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন করে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক ভিকটিমের জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর ভিকটিমকে তার বাবার জিম্মায় দেওয়ার আদেশ দেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার মজনুর সাত দিনের রিমান্ড মন্জুর করেন আদালত। এর আগে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকালে মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরা অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করে ক্যান্টনমেন্ট থানার পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামানকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন : মজনুর ভাঙা দাঁতই সাহায্য করেছে র্যাবকে
এর আগে, বুধবার (৮ জানুয়ারি) মজনুকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে তুলে দেয় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
উল্লেখ্য, রবিবার (৫ জানুয়ারি) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষণিকা বাসে করে ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে কুর্মিটোলা বাসস্টপেজে নামার পর তাকে মজনু অনুসরণ করে। একপর্যায়ে তাকে ফুটপাতের ঝোপে নিয়ে ধর্ষণ করে। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে ওই শিক্ষার্থী রিকশায় করে বান্ধবীর বাসায় যান। সেখান থেকে বান্ধবীসহ অন্য সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ওই ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। মামলাটি পরে ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়।
ওডি/টিএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড