নিজস্ব প্রতিবেদক
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার মৃত্যুর ঘটনায় তার ‘প্রেমিক’ আবদুর রহমান সৈকতকে চার দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে তাকে হাজির করা হলে এ রিমান্ড মঞ্জুর হয়।
সৈকতকে শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে আটক করা হয়। পরে রাতেই তাকে রাজধানীর মিন্টো রোডে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আজ সৈকতের বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আখতারুজ্জামান ইলিয়াস। অপর দিকে সৈকতের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। দুপক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশিদ জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
সূত্রে জানা গেছে, সৈকত স্বীকার করেছেন, তিনি রুম্পার প্রেমিক। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় রুম্পার সঙ্গে তার কথা হয়। সৈকত স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
লাশ উদ্ধারের পর থেকে রুম্পার পরিবার ও সহপাঠীরা একে হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করছেন।
পুলিশ ও ঘটনাস্থলের বাসিন্দারা জানান, বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোডে দুই ভবনের মাঝে এক গলিতে রুম্পার লাশ পাওয়া যায়। ওই তরুণী আশপাশের কোনো ভবন থেকে পড়ে মারা গেছেন বলে তখন ধারণা করা হয়। কিন্তু পুলিশ তখন তার নাম-পরিচয় জানতে পারেনি। পরের দিন বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় স্বজনরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন।
রুম্পা স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তিনি মালিবাগের শান্তিবাগে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন। তার বাবা হবিগঞ্জ জেলা পুলিশে কর্মরত রোকনউদ্দিন।
এ ঘটনায় রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। ওই থানার এসআই আবুল খায়ের মামলাটি করেছেন। পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, রুম্পা বুধবার সন্ধ্যায় বাসা থেকে বের হন। তার সঙ্গে মুঠোফোন ছিল। উঁচু থেকে পড়লে সাধারণত যে ধরনের জখম হয়, রুম্পার শরীরে তেমন আঘাত পাওয়া গেছে।
ওডি/এমআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড