ফাহাদ হত্যায় ৪ আসামির সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় মোর্শেদুজ্জামান জিসানসহ পলাতক চার আসামির সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
পলাতক অন্য তিন আসামি হলেন- এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও মোস্তবা রাফিদ। এর মধ্যে মোস্তবা রাফিদের নাম এজাহারে না থাকলেও অভিযোগপত্রে তার নাম যুক্ত করা হয়।
মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. কায়সারুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
গত ১৩ নভেম্বর আলোচিত এ মামলায় ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে নগর গোয়েন্দা পুলিশ চার্জশিট দাখিল করার পর ১৮ নভেম্বর অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পলাতক চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
এ বিষয়ে ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে পরোয়ানা তামিলের বিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় তাদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে ক্রোকের আদেশ তামিলের বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
মামলায় অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন এবং এজাহার বহির্ভূত ৬ জন। গ্রেফতারদের মধ্যে ৮ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেফতারদের মধ্যে ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত ও এস এম মাহমুদ সেতু ছাড়া বাকি সবাই এজাহারভুক্ত আসামি।
গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে ছাত্রলীগের কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মীর হাতে নির্দয় পিটুনির শিকার হয়ে মারা যান বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ।
এ ঘটনার পরদিন নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি মামলা করেন।
ওডি/এমআই
