• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন রিটের রায় ৫ ডিসেম্বর

  নিজস্ব প্রতিবেদক

২১ নভেম্বর ২০১৯, ১৯:৩১
হাইকোর্ট
ফাইল ফটো

মানুষের দেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন-১৯৯৯ এর ৩টি (২গ, ৩ ও ৬) ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, এ মর্মে রুলের রায় ৫ ডিসেম্বর।

রুলের ওপর শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এ দিন ঠিক করেন। হাইকোর্ট ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট রুলটি জারি করেছিলেন।

রুলে ওই আইনের আওতায় ১৮ বছরেও বিধি প্রণয়ন না করায় বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, হাইকোর্ট সেটিও জানতে চেয়েছিলেন।

ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন। ফাতেমা জোহরা নামে একজন আদালতে রিট আবেদন করেন।

আইনজীবীরা জানান, ২০১৫ সালে ফাতেমা জোহরা তার মেয়ে ফাহমিদাকে একটি কিডনি দান করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। পরে তার মেয়ের কিডনি অকেজো হয়ে যায়। বর্তমানে ডায়ালাইসিস করাতে হচ্ছে, এটা খুবই ব্যয়বহুল। কিন্তু পরে দাতা পেলেও আইনি বাধার জন্য মেয়েকে কিডনি দিতে পারছিলেন না তিনি। এ অবস্থায় তিনি রিট আবেদন করেন।

ব্যারিস্টার রাশনা বলেন, মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন-১৯৯৯-এর ২গ ধারায় দাতার সংজ্ঞা দেওয়া রয়েছে। সংজ্ঞায় দাতা হিসেবে নিকটাত্মীয়দের কথা বলা হয়েছে। নিকটাত্মীয় বলতে বাবা-মা, ভাই-বোন, পুত্র-কন্যা, চাচা, ফুফু, মামা, খালা ও স্বামী-স্ত্রীকে বলা আছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের আইনে দাতার বয়স ১৮ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। মেডিকেল বোর্ডের ছাড়পত্র লাগবে। আইনের এ বাধ্যবাধকতা থাকায় চিকিৎসা ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ১৯৯৯ সালের আইনে এ বিষয়ে বিধি করার কথা বলা হলেও আজ পর্যন্ত কোনো বিধি করা হয়নি। তাই রিট আবেদন করা হয়।

ওডি/এমআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড