• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

তিন মাসে মসজিদের দানবাক্সে দেড় কোটি টাকা!

  কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

২৭ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:৩৬
টাকা
দানবাক্স খোলার পর শিক্ষক ও ছাত্রদের অংশগ্রহণে টাকা গণনা করা হচ্ছে (ছবি : দৈনিক অধিকার)

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক ‘পাগলা মসজিদের’ দানবাক্স থেকে এবার এক কোটি ৫০ লাখ ৮৪ হাজার ৫৯৮ টাকা পাওয়া গেছে। যা ওই মসজিদের দানবাক্সগুলো থেকে পাওয়া এ পর্যন্ত দানের হিসেবে সর্বোচ্চ।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দানবাক্স খোলার পর গণনা শেষে বিকালে মসজিদ কর্তৃপক্ষ এ হিসাব প্রদান করেন। বিপুল পরিমাণ দানের এই নগদ টাকা ছাড়াও বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা ও দান হিসেবে বেশ কিছু স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে বাক্সগুলোতে। এ দিকে, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও অন্যবারের চেয়ে পরিমাণে এবার বেশি।

এর আগে ২০১৮ সালের ৬ জানুয়ারি দানবাক্সগুলো থেকে সর্বোচ্চ এক কোটি ২৭ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭১ টাকা পাওয়া গিয়েছিল।

সাধারণত তিন মাস পর পর ‘পাগলা মসজিদের’ দানবাক্স খোলা হয়। সর্বশেষ গত ১৩ জুলাই বাক্সগুলো খুলে এক কোটি ১৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৫০ টাকা পাওয়া গিয়েছিল।

এ দিকে, সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়। এ সময় দানবাক্স থেকে টাকা প্রথমে বস্তায় ভরা হয় এবং এরপর শুরু হয় দিনব্যাপী টাকা গণনা। এই টাকা গণনায় মসজিদ-মাদ্রাসার ৬০ জন ছাত্র ও শিক্ষক ছাড়াও রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তাগণ অংশ নেন।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার তত্ত্বাবধানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর মো. আল কামাহ তমাল, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহামুদুল হাসান, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকত উদ্দীন ভূঁইয়া, রূপালী ব্যাংকের এজিএম অনুফ কুমার ভদ্র প্রমুখ টাকা গণনার তদারকি করেন। এছাড়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুল্লাহ আল মাসউদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. আসাদ উল্লাহ এ সময় টাকা গণনার কাজ পর্যবেক্ষণ করেন।

একই সঙ্গে দানবাক্স খোলা কমিটির সদস্যরা ছাড়াও প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ ও সার্বক্ষণিক দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি টাকা গণনার এই এলাহী কাণ্ড নিজ চোখে অবলোকন করতে শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ মসজিদে ছুটে আসেন।

প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ মসজিদটির দানবাক্সগুলোতে নগদ টাকা-পয়সা ছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগীসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করে থাকেন। কথিত আছে, খাস নিয়তে এই মসজিদে দান করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। এ জন্য দূর-দূরান্ত থেকেও অসংখ্য মানুষ এসে এই মসজিদে দান করে থাকেন।

দানবাক্স খোলার সত্যতা স্বীকার করে টাকা গণনা কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার এক কোটি ৫০ লাখ ৮৪ হাজার ৫৯৮ টাকা পাওয়া গেছে। টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ডলার, রিয়ালসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাগলা মসজিদের দানবাক্সে জমা পড়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ওডি/আইএইচএন

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড