ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের মধুখালীতে একটি কলাবাগান থেকে উদ্ধার হওয়া পাটকল শ্রমিক কাজল রেখা রানী হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- চুন্নু শিকদার (২৮), নাজমুল (৩২), ইসলাম (৩২) ও আতিয়ার (৪২)। ঢাকার গুলশান ও মধুখালী উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে গ্রেফতারকৃত ৪ আসামি হত্যা ও ধর্ষণের কথা স্বীকার করে ফরিদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ৫ নম্বর আমলি আদালতে জবানবন্দি দেয়। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে এ ব্যাপারে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল কাজল রেখা রানীকে। ওই মামলার তদন্ত কালে মোবাইল ফোনের কল লিস্ট ধরে অভিযান চালায় পুলিশ। এরপর ঢাকার গুলশান ও মধুখালী উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, আসামিদের মধ্যে নসিমন চালক চুন্নু শিকদার ওরফে ঝড়ুর সঙ্গে কাজল রেখার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এই সম্পর্কের সুবাদে হত্যাকাণ্ডের আগের দিন সে মোবাইলে কাজল রেখাকে ডেকে আনে। এরপর সকলে মিলে কাজল রেখাকে পালাক্রমে ধর্ষণের পর হত্যা করে।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ অক্টোবর দুপুরে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার রাজধরপুর গ্রামের একটি কলা বাগান থেকে কাজল রেখা রানী বিশ্বাস (৩৫) নামে এক নারীর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর নিহতের মা কল্যাণী রানী বিশ্বাস বাদী হয়ে ওইদিন রাতেই অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মধুখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত কাজল রেখা রানী মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার বড়ালিদাহ গ্রামের রাম গোপাল বিশ্বাসের মেয়ে। সে আড়পাড়া প্রাইড জুট মিলের শ্রমিক ছিল। স্বামী পরিত্যক্তা কাজল রেখা রানীর দুটি সন্তান রয়েছে।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড