• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মা ইলিশ নিধন: ৫ পুলিশ সদস্য ক্লোজড

  বরিশাল প্রতিনিধি

২৩ অক্টোবর ২০১৯, ০৭:৫৭
বরিশাল ম্যাপ
ছবি : দৈনিক অধিকার বরিশাল ম্যাপ

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার তেতুলিয়া নদীতে অনুপ্রবেশ করে মা ইলিশ নিধনের অভিযোগে ৮ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি)। তোলপাড় করা এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যকে সোমবার সাময়িক বরখাস্ত ও পাঁচজনকে মঙ্গলবার ক্লোজড করার আদেশ দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘটনার তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার আকরাম হোসেন। তবে অভিযোগ তদন্তাধীন থাকায় এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে চাননি তিনি।

বিএমপি সূত্রে জানা গেছে, আটজনের মধ্যে সাময়িক বরখাস্তকৃত তিনজন হলেন- উপপরিদর্শক আনিস, কনস্টেবল মোহম্মদ আলী ও জুলফিকার আলী। ক্লোজড হওয়া পাঁচজন হলেন- এএসআই তরিকুল ইসলাম, এফরান হোসেন, সোহেল রানা, কনস্টেবল জাকির হোসেন ও ইব্রাহিম। এরা সকলেই বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানায় কর্মরত ছিলেন।

জানা গেছে, বরিশাল বন্দর থানার একদল পুলিশ রবিবার সন্ধ্যায় দুটি ট্রলার ও একটি স্পিডবোটে বাউফল উপজেলা সংলগ্ন তেতুলিয়া নদীতে ইলিশ ধরছিল। এ সময় বাউফল উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও কালাইয়া ফাঁড়ি পুলিশ বাউফলের ধুলিয়া সংলগ্ন তেতুলিয়া নদীতে টহলে গিয়ে বন্দর থানার কনস্টেবল মো. জুলফিকার, মোহাম্মদ আলীসহ চার জেলেকে আটক করে। এ সময় চার জেলেকে আটক করাসহ জব্দ করা হয় মা ইলিশ। তবে অপর দুটি বোটে অন্য পুলিশ সদস্যরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনা ফাঁস হয়ে গেলে তোলপাড় ঘটে বিএমপিতে।

রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বন্দর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন তালুকদার বাউফলে কালাইয়া পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে আটক দুই পুলিশ সদস্যকে নিয়ে আসেন। শুরুতে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, ইলিশ নিধনে নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে নদীতে টহলের সময় তারা ভুলে বাউফলের জলসীমায় ঢুকে পড়েছিল। তবে মৎস্য অধিদপ্তর থেকে দাবি করা হয়, ইলিশ নিধনে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলাকালে তাদের কর্মকর্তা ছাড়া নদীতে পুলিশ কিংবা অন্য কোনো প্রশাসনের টহলে যাওয়ার নিয়ম নেই।

পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ বলেন, রবিবার বিকালে বাউফল উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এবং নৌ পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে একটি দল অভিযানে নামে। তেতুলিয়া নদীর ধূলিয়া পয়েন্টে ইলিশ ধরারত অবস্থায় একটি ট্রলার আটক করে। ওই ট্রলার থেকে বরিশাল বন্দর থানার মো. জুলফিকার ও মোহাম্মদ আলী নামের দুই পুলিশ সদস্য ও চার জেলেকে আটক করা হয়। অভিযানের সময় দুটি স্পিড বোটসহ অন্যরা পালিয়ে যায়।

বাউফলের কালাইয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক সোহাগ ফকির জানান, আটককৃত দুই পুলিশ সদস্যসহ সাত থেকে আটজন একটি স্পিডবোট, একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ও কাঠের তৈরি নৌকা নিয়ে ইলিশ ধরছিল। স্পিডবোট ও কাঠের নৌকায় থাকা পুলিশ সদস্যরা পালিয়ে যায়। আটক হওয়া চার জেলে বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়ার বাসিন্দা। তাদের দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরিতে মাছ ধরতে আনা হয়েছে বলে স্বীকার করেন। উপপরিদর্শক আরও জানান, বন্দর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন রাতে নৌ ফাঁড়িতে এসে দুই পুলিশ সদস্যকে নিয়ে যান।

প্রসঙ্গত, মা ইলিশের প্রজনন নিরাপদ করতে গত ৯ অক্টোবর থেকে নদী-সাগরে ইলিশ নিধনে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে।

ওডি/এসজেএ

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড