ছেলের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার পর মায়ের আত্মহত্যা

কুমিল্লার তিতাসে পারিবারিক কোন্দলের জের ধরে ছেলের হাতে দুই দফা লাঞ্ছিত হন মা লতিফা বেগম (৫৭)। এই অপমান সহ্য না করতে না পেরে পরে বিষ পান করে আত্মহত্যা করেন তিনি। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ভোরে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার কড়িকান্দি ইউনিয়নের বন্দরামপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার পর থেকে নিহত লতিফা বেগমের ছেলে মো. শাকিল (৩৭) পলাতক। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাকিলের স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে থানায় আনে পুলিশ। এ ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে শাকিল ও জেসমিনকে আসামি করে লতিফার স্বামী আবুল কাশেম তিতাস থানায় মামলা করেছেন।

জিজ্ঞাসাবাদে শাকিলের স্ত্রী জেসমিন বলেন, পারিবারিক বিষয় ও জমিজমা নিয়ে গতকাল সোমবার দুপুরে শাকিলের সঙ্গে মতবিরোধ হয় লতিফার। একপর্যায়ে শাকিল তার মাকে মারধর করে। বিষয়টি লতিফা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যকে জানালে ক্ষুব্ধ হয়ে শাকিল আরেক দফা তাকে মারধর করে। অপমানে সোমবার দিবাগত রাতে পাশের বাড়িতে চলে যান তিনি। এরপর মঙ্গলবার সকালে বাড়িতে এসে তিনি বিষ পান করেন। কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান।

কড়িকান্দি ইউপির সদস্য আবুল কাশেম মুন্সী বলেন, ‘শাকিল সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে তার মাকে মারধর করেন। পরে তার মা লতিফা বেগম আমার কাছে এসে ছেলের নির্যাতনের ব্যাপারে অভিযোগ করেন। শাকিল বিষয়টি ভালোভাবে না নিয়ে আবার তার মাকে মারধর করেন। সকালে জানতে পারি, লতিফা বেগম বিষ পান করে আত্মহত্যা করেছেন। পরে আমরা পুলিশকে ঘটনাটি জানাই।’

ওডি/ এফইউ