নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার সিংগা গ্রামে প্রথম শ্রেণির ছাত্র রমজান শেখ (৭) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ নিহতের আপন খালা লাকী বেগমসহ (২৭) লাকী বেগমের স্বামী হাবিবুর রহমান (৪৭) কে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে সিংগা গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এর আগে গ্রেফতার হন শিশুটির পিতা ইলিয়াস শেখ ও মামা মো. ইউসুফ শেখ। গ্রেফতারকৃতদের শনিবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, রমজান সিংগা-মশাঘুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়ত। গত বুধবার সকালে স্কুলে গিয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। বুধবার সন্ধ্যার আগে তার লাশ পাওয়া যায় শিশুটির পিতা ও নানার বাড়ি পার্শ্ববর্তী বাগানে। তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। রমজানের লাশ পুলিশ উদ্ধারের পরে সৎ মা তহমিনা নিখোঁজ রয়েছেন। গত শুক্রবার নড়াইলের পুলিশ সুপার মো. জসীম উদ্দিন পিপিএম (বার) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শিশুর নানা বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অবশ্য দায়েরকৃত মামলা নিয়ে বাদী ও পুলিশের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে।
মামলার বাদী শিশু রমজানের নানা হবিবর রহমান শেখ সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন গত বৃহস্পতিবার রাতে শিশুর পিতা ইলিয়াস শেখ ও সৎ মা তহমিনা বেগমকে আসামি করে থানায় এজাহার জমা দিয়েছিলাম। অথচ এখন শুনছি এজাহারে ওই দুজনের নাম নাই।
লোহাগড়া থানার ওসি মো. মোকাররম হোসেন জানান, বাদীর দেওয়া লিখিত এজাহারই এন্ট্রি করেছি। এজাহারে আসামি অজ্ঞাত ছিল। লোহাগড়া থানার এসআই মিলটন কুমার দেবদাস জানান, মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে ওই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতে গ্রেফতারকৃতদের ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
শিশুটির নানি আয়শা বেগম, গ্রেফতার হওয়া খালা লাকী বেগম, আত্মীয় ফুরি বেগম বলেন, রমজান বেঁচে থাকলে তাকে টাকা ও জমিরভাগ দিতে হবে। সে কারণেই রমজানকে পরিকল্পিতভাবে তার পিতা ও সৎ মা হত্যা করেছে।
ওডি/আরবি
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড