নরসিংদী প্রতিনিধি
নরসিংদীতে ১৩ বছরের কিশোরীকে অপহরণের পর নয় দিন আটকে রেখে গণধর্ষণ করেছে কয়েকজন যুবক। এ ঘটনায় অপহরণকারীসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে মাধবী থানা পুলিশ।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) সাভার উপজেলার গোমাইল উত্তর পাড়ার একটি বাড়ি থেকে ভিকটিমকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
কিশোরীর বাবা জানান, গত ৫ অক্টোবর সকাল পৌনে ১১টার দিকে মাধবদী থানাধীন দরগাবাড়ি কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনের থেকে কিছু লোক মাইক্রোবাসযোগে তার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর বুধবার (৯ অক্টোবর) মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে তার মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। শনিবার (১২ অক্টোবর) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাধবদী থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে মাধবদী থানার এসআই মো. শিবলী কায়েছ মীর জানান, বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিয়ে প্রযুক্তি ও মোবাইল ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে আসামি রুবেল মুক্তিপণের টাকা নিতে আসলে আশুলিয়ার নরসিংহপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে সাভারের গোমাইল উত্তরপাড়া থেকে অপহরণে সহায়তাকারী ফয়সাল, শাকিল ও আসাদুরসহ ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় মূল অপহরণকারী সুজন পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ট্র্যাকিং করে নারায়ণগঞ্জের গাউছিয়া থেকে সুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
অপহৃত কিশোরী জানায়, অপহরণের পর তাকে প্রথমে নরসিংদী একটি হোটেলে তুলে সুজন ও তার সহযোগীরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে পুরিন্দা ও সর্বশেষ সাভারের আশুলিয়ায় নিয়ে প্রতিদিন একাধিক পুরুষ হাত পা বেঁধে ধর্ষণ করে এবং তার ভিডিও চিত্র মোবাইলে ধারণ করে। কারো কাছে মুখ খুললে তার নগ্ন ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়াসহ তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
মাধবদী থানার (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কিশোরীকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং আসামিদের আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
ওডি/ এফইউ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড