এস.এম. মিজানুর রহমান মজনু, ভালুকা, ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় ডাকাতিয়া ইউনিয়নের মাটিয়াগাড়া খালের ওপর কালভার্ট নির্মাণে দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও নারী ইউপি সদস্যদের যোগসাজশে প্রায় ৩০ বছর আগের ভাঙা ও ব্যবহার অনুপযোগী সিমেন্টের রিং দিয়ে নতুন কালভার্ট নির্মিত হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী কালভার্ট নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ভালুকা উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের এলজিএসপির প্রকল্পের আওতায় মাটিয়াগাড়া খালের ওপর নতুন ১২টি রিং দিয়ে কালভার্ট নির্মাণ করার কথা ছিল। তা না করে পুরাতন রিং দিয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সম্প্রতি ডাকাতিয়া ইউনিয়নের মাটিয়াগাড়া খালের ওপর এজিএসপির অর্থায়নে একটি কালভার্ট নির্মাণ কাজ শুরু করে। এতে প্রায় ৩০ বছরের পুরনো ৯টি তিন ফুটের ব্যাসের রিং ব্যবহার করা হয়।
কালভার্টের কাজ শুরু করার আগে স্থানীয় ভালুকা উপজেলা প্রকৌশলী এলজিইডি অফিস থেকে ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম প্রাক্কলিত ব্যয়ের একটি হিসাব করে নেন। প্রকল্পের সভাপতি করা হয় ১,২, ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য লাইলী বেগমকে। এরপর পুরনো ৯টি রিং মাটির নিচ থেকে তুলে ধুয়ে মুছে ভাঙা অংশ সিমেন্ট সুরকি দিয়ে সংস্কার করা হয়। সেই সঙ্গে নতুন তিনটি সিমেন্টের রিংসহ মোট ১২টি রিং দিয়ে নতুন করে কালভার্ট সংস্কার কাজ শুরু করা হয়। পুরাতন রিং দিয়ে কাজ শুরু করায় স্থানীয় গ্রামবাসী সংস্কার কাজ বন্ধ করে দেয়।
স্থানীয় বাসিন্দা এম. এ বারী মাস্টার জানান, প্রায় ৩০ বছরের পুরাতন সিমেন্টের রিং যার প্রায় সবগুলোতে ফাটল ধরে এবং চিকন রড মরিচা ধরে গেছে। ব্যবহারের অনুপযোগী সেই রিংগুলো দিয়েই কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। তাই আমরা কালভার্ট নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাকাতিয়া ইউনিয়নের ১, ২, ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি নারী সদস্য লাইলী বেগম পুরাতন রিং দিয়ে কাজ করার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি শুধু প্রকল্পের সভাপতি। পুরাতন না নতুন রিং দিয়ে কাজ করাতে হবে; এসব বিষয়ে চেয়ারম্যান ভালো জানেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ডাকাতিয়া ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, পুরাতন ৯টি ও নতুন তিনটি রিং দিয়ে খালের কালভার্টের কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু পুরাতন ব্যবহারে অনুপযোগী রিং কি জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে এমন প্রশ্নে করলে তিনি কোনো উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, ১২টি রিং দিয়ে কালভার্টটি নির্মাণ করা হলে বৃষ্টি হলে উজানের পানি সহজে নিষ্কাশন হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম দৈনিক অধিকারকে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা আমাদের কাছ থেকে অনেক সময় এস্টিমেট করে নিয়ে যায়। সেই কাজ দেখা-শোনার দায়িত্ব আমাদের না। এলজিএসপির কাজ দেখভাল করা দায়িত্ব হলো ইউনিয়ন পরিষদের।
ওডি/ এফইউ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড