রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
রাঙ্গামাটির মানিকছড়িতে শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধারকৃত নিহত দিনমজুর আমজাদ হত্যা মামলায় আসামিদের রক্ষা করতে বাদীর স্বজনদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) রাঙ্গামাটির একটি স্থানীয় পত্রিকার মাধ্যমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিহতের মা অভিযোগ করে বলেন, কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) এসআই জাহাঙ্গীর আসামিদের সঙ্গে যোগসাজশ করে মামলাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ মামলার সুস্পষ্ট তথ্য-প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও আমার মেয়ের জামাই আল-আমিনকে আটক করে নির্দয়ভাবে পিটিয়ে অবশেষে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমার ছেলেকে হারিয়ে আমি থানার দুয়ারে দুয়ারে ঘুরলেও থানা পুলিশ আমার কোনো কথাই শুনছে না। উল্টো আমার মেয়ের জামাইকে রিমান্ডে নিয়ে নির্মম নির্যাতন করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রভাবশালী মহল ও থানা পুলিশের কারণে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ এনে ভুক্তভোগী সন্তানহারা জামেনা বেগম বলেন, বর্তমানে পুলিশের বিরোধিতার কারণে আমার মেয়ের জামাইকে জামিনেও নিতে পারছি না আমি।
এ দিকে, সংবাদ সম্মেলনে নিহতের স্বজনেরা জানান, তাদের সন্তানকে নির্মমভাবে হত্যা করে ঘরের ভেতরে লাশ রেখে দেওয়ার ঘটনায় শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্ত্রীকে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে মামলার তদন্তের দায়িত্বে নিয়োজিত কোতোয়ালি থানার এসআই জাহাঙ্গীর ও ওসি (তদন্ত) খান নুরুল ইসলাম কোনো ভূমিকা নেননি। বিষয়টি ইতোমধ্যেই আদালতের দৃষ্টিগোচর হলে আদালত পুলিশের গাফিলতি পরিলক্ষিত করে মামলাটির কর্মকর্তা পরিবর্তন করে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন। বর্তমানে এ মামলার তদন্ত করছেন থানার ওসি (তদন্ত) খান নুরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, মানিকছড়ির কয়েকজন প্রভাবশালীর সঙ্গে যোগসাজশ করে ওসি (তদন্ত) বর্তমানে এ মামলাটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করার লক্ষ্যে রিমান্ডের প্রতিবেদনে মূল আসামিদের বাদ দিয়ে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা করছেন।
বুধবার দুপুরে শহরের স্থানীয় ‘দৈনিক রাঙামাটির’ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে মৃত আমজাদের বোন রুমা আক্তার, আল-আমিনের মা তাসলিমা বেগম, প্রতিবেশী আবুল কালাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ দিকে, বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মীর জাহেদুল হক রনি জানান, হত্যা মামলাটি দায়েরের পর আমি বিষয়টির তদারকি করেছি। আমার তদারকিকালীন আটককৃত আল-আমিন উক্ত মামলার সাথে সম্পৃক্ত আছে এই ধরনের কোনো তথ্য আমার কাছে প্রতীয়মান হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাঙ্গামাটি শহরের প্রবেশমুখ মানিকছড়ির শ্বশুরবাড়ি থেকে আমজাদ হোসেন নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। ঘটনার দিন পুলিশ ও স্থানীয়দের কাছে নিহতের স্ত্রী ও শাশুড়ি নানা রকম তথ্য দিলে এলাকাবাসীর চাপের মুখে পুলিশ আমজাদের স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে আটক করে। এ ঘটনায় ১ অক্টোবর নিহতের মা জামেনা বেগম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ওডি/আইএইচএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড