কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
বুয়েটের ছাত্র নিহত আবরার ফাহাদের বাড়ি কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডে। সেখানে গিয়ে দেখা গেল, পুরো এলাকাই যেন শোকে স্তব্ধ। আর আবরারের বাড়িটি যেন কোনো মৃত্যুপুরী। তার মা ছেলের শোকে আহাজারি করছেন, কাঁদতে কাঁদতে চোখ দুটো ফুলে গেছে, চোখে পানি ছলছল করছে আর ক্ষণে ক্ষণে গড়িয়ে পড়ছে। স্বজনরা তাকে কিছুতেই শান্ত করতে পারছেন না।
এ সময় উপস্থিত সংবাদকর্মীদের কেউ কেউ ফাহাদের মা ও বাড়ির ছবি তুলছিলেন। সন্তানের শোকে স্তব্ধ এ মায়ের প্রশ্ন, ‘সাংবাদিকরা তার ছবি নিয়ে কী করবে?’ সাংবাদিকদের কাছে পেয়ে খুনিদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান আবরার ফাহাদের মা। তিনি বলেন, আমার ছবি নিয়ে কী করবেন? পারলে যারা আমার ছেলেকে খুন করেছে, তাদের খুঁজে বের করেন। তাদের ছবি তোলেন। প্রশাসন কি পারবে আমার ছেলেকে আমার বুকে ফিরিয়ে দিতে? আমার ছেলেকে কী অপরাধে এমন নৃশংসভাবে মেরে ফেলা হলো। কী ছিল তার অপরাধ? সরকার কি পারবে যারা আমার বুকের মানিককে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসি দিতে?
তিনি আরও বলেন, রবিবার সকালেও আমার বাবুটাকে (আবরার) মুখে তুলে খাইয়েছি। এরপর একসঙ্গে বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে তাকে বাসে তুলে দিয়েছি। ছেলেটা বিকালে ঢাকায় গিয়ে আমাকে ফোন করে বলেছে- ‘মা আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে এসে পৌঁছেছি। তুমি কোনো চিন্তা কোরো না’।
রবিবার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। নিহত ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শের-ই বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
ওডি/এমআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড