নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের গুরুদাসপুরের সোহাগ ও জুলিয়া। তারা পরস্পরকে ভালোবাসেন। দুজনই রাজশাহীতে পড়ালেখা করেন। সোহাগ পলিটেকনিক্যালে পড়েন আর জুলিয়া সিটি কলেজে।
একপর্যায়ে জুলিয়া বিয়ের দাবিতে প্রেমিক সোহাগের বাড়িতে অবস্থান নেয়। সোহাগ জুলিয়াকে বিয়ে করতেও চেয়েছিলেন। কিন্তু জুলিয়ার হঠাৎ এমন কাণ্ডে হতচকিত হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে সোহাগ সারাদিন না খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন জুলিয়া। সোহাগের পরিবার কোনোভাবেই জুলিয়াকে মেনে নিতে রাজি ছিল না।
সোহাগ গুরুদাসপুর পৌরসভার আনন্দনগর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছোট ছেলে। আর জুলিয়া খামারনাচকৈড় মহল্লার জহুরুল ইসলাম ওরফে দুদু ড্রাইভারের মেয়ে।
এদিকে সোহাগের বাড়িতে অবস্থান নেয়া জুলিয়াকে দেখতে আসেন শত শত মানুষ। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে দুপক্ষের অভিভাবকদের নিয়ে দুদফা বৈঠকও হয় মীমাংসার জন্য।
কিন্তু নানা গুঞ্জন, চাপ আর ক্ষোভে দুঃখে সোহাগ রাত সাড়ে ১২টার দিকে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন। প্রেমিকের আত্মহত্যার খবর শুনে শুক্রবার সকালে হারপিক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন জুলিয়া। পরে তাকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গুরুদাসপুর থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড