নিজস্ব প্রতিনিধি
সাবেক সেনাপ্রধান এবং অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ফিজির রাষ্ট্রদূত লেফটেন্যান্ট জেনারেল এম. হারুন-অর-রশিদ বীর প্রতীক (অব.) বলেন, ‘বিগত ১০ বছর ধরে সরকার চট্টগ্রামের উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় বরাদ্দসহ আনুষঙ্গিক সবকিছু এনে দেওয়া সত্ত্বেও কাঙ্খিত সাফল্য আসছে না। প্রায় ২০টি প্রতিষ্ঠান এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করলেও তাদের মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই, এমন কি এ প্রসঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কোনো লোকও নেই।’
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর স্টেশন রোডে অবস্থিত হোটেল প্যারামাউন্ট ইন্টারন্যাশনাল হলরুমে বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন পর্ষদ (বারাবাপ) আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বাঙালীর অহংকার মহান মুক্তিযুদ্ধ-৭১ এ জাতির গর্বিত সন্তান বীর সেনানী চট্টগ্রামের মাটি ও মানুষের কৃতি সন্তান এ সেনাপ্রধান বলেন, ‘প্রায় ৭০ বছর আগে দেশজুড়ে ৬ কোটির মাত্র তিন লক্ষ নগরবাসীর জন্য নির্মিত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালই এখন সময়ের সঙ্গে এগুতে অপারগ। মৌলিক চাহিদার অন্যতম চিকিৎসা সেবায় এরই মধ্যে ১৭ কোটি জনগণের প্রায় ৭০ লক্ষ নগরবাসীসহ চট্টগ্রাম বিভাগের চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে পর্যায়ক্রমে শয্যা সংখ্যা ১৩১৩ হলেও চিকিৎসক, শয্যা সংখ্যা ও লোকবলসহ এক তৃতীয়াংশেই চিকিৎসা সেবার মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হচ্ছে। প্রয়োজন ও গুরুত্বের কথা চিন্তা করে দায়িত্ব নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে চাইলেই কাজটা করিয়ে নিয়ে আসা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আঞ্চলিক বাণিজ্য, যোগাযোগ, পর্যটন ও বিনিয়োগের স্বার্থে চট্টগ্রাম বিমান বন্দরের আধুনিকায়ন ও পূর্ণাঙ্গকরণসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের সার্বিক যোগাযোগ অবকাঠামো গড়ে তোলা জরুরি। ২০১৩ সালে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামে হলেও বাড়েনি সক্ষমতা, সুযোগ-সুবিধাও অপ্রতুল। অথচ বিগত ৬ বছরে যাত্রী পরিবহন বেড়েছে, কয়েকটি এয়ারলাইনস প্রতিযোগিতা করে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়িয়ে চালু করেছে। ২০১৮ সালে বিমানে আসা যাওয়া করেছেন ৯ লক্ষাধিক আন্তর্জাতিক যাত্রীসহ ১৬ লাখ ৯৪ হাজার যাত্রী। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী, পর্যটক, চট্টগ্রামে কর্মরত দেশি-বিদেশি এক্সিকিউটিভ, মধ্যপ্রাচ্যের যাত্রী এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো, চীনের কুইমিংসহ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে যাতায়াতে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর আঞ্চলিক এভিয়েশন ‘হাব’ হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য বিমান রাখার হ্যাঙ্গার, ক্যাটারিং সার্ভিস, কার্গো ভিলেজ প্যারালাল রানওয়ে ও পার্কিং সুবিধা প্রয়োজন। পর্যাপ্ত বোর্ডিং ব্রিজ নেই, যাত্রীদের বিমানবন্দর ভবন থেকে পায়ে হেঁটে বিমানে উঠতে হচ্ছে, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতিও অপর্যাপ্ত, চেক-ইন কাউন্টার ও সাধারণ যাত্রীদের জন্য লাউঞ্জ অপ্রতুল।’
বারাবাপের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী গোলাপ রহমান ও মহাসচিব সালেহ আহমেদ সুলেমানের সঞ্চালনায় সভাপতি এস. এম সিরাজুদ্দৌলার সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বারাবাপের নির্বাহী সভাপতি অধ্যক্ষ ডা. আবদুল করিম, উপদেষ্টা সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ফরিদ, আলহাজ্ব এমদাদুল হক চৌধুরী, মো. সায়েদ মিল্কি, ইঞ্জিনিয়ার এনামুল বাকী, চসিক সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডস্ট্রিজ ও বারাবাপের সহ-সভাপতি অধ্যাপক রেখা আলম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডস্ট্রিজের পরিচালক ডা. মহসিন জিল্লুর করিম, বারাবাপের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট এস.এম কামাল উদ্দিন, এ.আর.এম শামীম উদ্দিন, অধ্যাপক ড. জিনবোধি ভিক্ষু, অ্যাডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান, জিয়া উদ্দিন খালেদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মো. কুতুব উদ্দিন ও ভূপেন দাশ, প্রচার ও প্রকাশনা সচিব আলমগীর রানা, জনসংযোগ, যোগাযোগ ও সমন্বয় সচিব মো. এহসান উল্লাহ জাহেদী প্রমুখ।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- অধাপিকা আলেয়া চৌধুরী, স্বপন সেন, এস.এম শাহনেওয়াজ আলী মির্জা, আলহাজ্ব খায়রুল ইসলাম কক্সি, আলহাজ্ব সোলায়মান বাদশা, এস. এম ওসমান, আবছার মাহফুজ, সৈয়দ জোবাইদুল আলম, আবদুল্লাহ মজুমদার, ড. সরোয়ার আলম, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান খান, সারুক নিজাম চৌধুরী, শোয়েব ফারুকী, জিয়াউল হক খন্দকার, অ্যাডভোকেট সুনিল সরকার, কাউন্সিলর এম শহীদুল আলম, তারেক সোলেমান সেলিম, সোহেল-উদ-দোজা, নওশাদ আলম, বোরহান উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।
ওডি/এসএসকে
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড