ঈশ্বরদী প্রতিনিধি, পাবনা
ভারতের বিহার ও উত্তর প্রদেশ প্রবল বন্যায় ডুবছে। বন্যার কারণে মৃত ব্যক্তির সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়ে গেছে। এর পরই ফারাক্কা ব্যারেজের সবকয়টি স্লুইস গেট খুলে দিয়েছে দেশটি। এর ফলে প্রবল গতিতে পদ্মার পানি বাড়ছে। স্রোতের তোড়ে ঈশ্বরদী উপজেলার নদী তীরবর্তী বেশ কিছু এলাকার এক হাজার হেক্টর জমির সবজি-ফসল ও নিচু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। আর সাঁড়া, পাকশী ও লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের শত পরিবার ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে ।
পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) হাইড্রোলজি বিভাগের উত্তরাঞ্চলীয় নির্বাহী প্রকৌশলী কে এম জহুরুল হকের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে পানির উচ্চতা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। পদ্মার বিপদসীমা নির্ধারিত আছে ১৪ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার। সেখানে বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি প্রবাহ আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, আষাঢ়-ভাদ্র মাসের বন্যা না হওয়ায় তারা অনেকটা আশ্বস্ত ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে ২৫ সেপ্টেম্বর এলাকায় পানি প্রবেশ করতে থাকে। ধীরে ধীরে ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে যেতে থাকে। এক পর্যায়ে গত ছয় দিনে খেত ডুবে পানি ঘরের আঙিনায় ঢুকে পড়ে। বাড়ির ভেতরে ও আঙিনায় পানি প্রবেশ করায় পোকামাকড় ও সাপের উপদ্রব বেড়ে গেছে।
পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ বলেন, পদ্মার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করার আগে থেকেই পাবনা জেলা প্রশাসন সতর্ক দৃষ্টি রাখছে। ইতোমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে নদীরপাড় এলাকার এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যখন যেভাবে প্রয়োজন পাবনা জেলা প্রশাসন তখন সেখানে সেভাবে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড