কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
১৬ বছর পর কুষ্টিয়ার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্ট এলাকায় পদ্মার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। এর আগে ২০০৩ সালে বিপদসীমা অতিক্রম করেছিল।
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বিপদ সীমা ১৪ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার। এখন প্রবাহিত হচ্ছে ১৪ দশমিক ২৭ সেন্টিমিটারের সামান্য বেশি।
এ দিকে পানি বাড়ায় দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর, চিলমারির পর ফিলিপনগর ও মরিচা ইউনিয়নের কিছু এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের কোমরকান্দি ও কর্যানপুর গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
পদ্মার পানি বাড়ায় গড়াই নদীতে পানি বাড়ছে প্রতিনিয়ত। জিকে ঘাট ছাড়াও বড় বাড়ার এলাকার বেড়িবাঁধের পাশে আশ্রয় নেওয়া বেশ কিছু ঘর বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
পানি বাড়তে থাকলে কুষ্টিয়া রক্ষা বাঁধসহ অন্যান্য স্থাপনা ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে।
এ দিকে ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। জেলা প্রশাসন থেকে দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য ১২ মেট্রিক টন চাল ও তিন হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পীযুষ কৃষ্ণ কুন্ডু বলেন, পানি এই মুহূর্তে বিপদসীমার কয়েক সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে দৌলতপুর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের পর ভেড়ামারা উপজেলার মোসলেমপুরে পানি ঢুকছে। এছাড়া কুষ্টিয়া শহর, কুমারখালী ও খোকসার কিছু এলাকায় পানি প্রবেশ করে ক্ষতি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন বলেন, সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে প্রতি ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে। আমাদের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে আছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রস্তুত রয়েছে। আরও ত্রাণ প্রয়োজন হলে আসবে। নদীর পানির উচ্চতা বাড়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে প্রতিনিয়ত রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে। তবে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হবে না।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড