রংপুর প্রতিনিধি
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় মজিদপুর এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে হারুন ফকির (৩৮) নামের কাঁচামাল ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিহত হারুন ফকির গাইবান্ধা জেলার ধাপেরহাট এলাকার হিংগারগাড়া গ্রামের এমাত উদ্দীনের ছেলে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে শ্বশুর বাড়ির পেছনের কাঁঠাল গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, হারুন ফকিরের স্ত্রী হাসনা বেগম (৩০) বড় মজিদপুর গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে। প্রায় দু'বছর আগে হাসনা বেগম দুই সন্তানের জননী থাকা অবস্থায় অন্য এক ছেলের সঙ্গে পালিয়ে যায়। পরে সে ভুল স্বীকার করে আবার হারুন ফকিরের সংসার করতে থাকে। এরপর একই কায়দায় গত শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) স্বামী হারুন ফকিরের বাড়ি থেকে হাসনা বেগম তার চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে পালিয়ে যায়।
অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর হারুন ফকির জানতে পারেন, স্ত্রী তার শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করছে। এক পর্যায়ে শশুর বাড়িতে লোকজন এবং হাসনা বেগমের চাচাতো ভাই নাহিদ হারুন ফকিরকে তার শ্বশুর বাড়িতে আসতে বলে। সেখানে একটা মীমাংসা করে তার সঙ্গে পাঠিয়ে দেবে বলে আশ্বাস দেয়। এর প্রেক্ষিতে হারুন ফকির সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে শ্বশুর বাড়িতে যায়।
এলাকাবাসীর দাবি, রাতে হারুনের সঙ্গে ঝগড়া বিবাদের এক পর্যায়ে হাসনা বেগমের পরিবারের লোকজন হারুনকে পিটিয়ে হত্যার করে। এরপর আত্মহত্যা করেছে- বলে চালিয়ে দেওয়ার জন্য তারা বাড়ির পেছনে একটি কাঁঠাল গাছে ঝুলিয়ে রাখে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
পীরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুমুর রহমান বলেন, নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়না তদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হারুন ফকিরের শ্বশুর আবুল হোসেন ও স্ত্রী হাসনা বেগমকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
ওডি/ এফইউ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড