ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় বান্ধবীদের পরামর্শে ও সহযোগিতায় ওসিকে ফোন করে নিজের বাল্য বিয়ে ঠেকাল সপ্তম শ্রেণির স্কুলছাত্রী শাপলা আক্তার (১২)।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে মুক্তাগাছা শহরের নন্দীবাড়ি মধ্যপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুক্তাগাছা শহরের নন্দীবাড়ি মধ্যপাড়া এলাকার বাসিন্দা অটোরিকশা চালক শামীম মিয়ার ১২ বছরের মেয়ে ও শহরের এনএন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী শাপলা আক্তার হঠাৎ করেই জানল তার বিয়ের সবকিছু ঠিকঠাক করা হয়েছে একই উপজেলার হায়দরপুর গ্রামের ইউনুছের ছেলে মিলন মিয়ার সঙ্গে। শুক্রবার দুপুরে বিয়ের জন্য জুমার নামাজের পর বরযাত্রীরা হাজির হয় কনে শাপলার বাড়িতে। ধূমধামে চলে বিয়ে বাড়ির খাওয়া-দাওয়া। খাওয়া-দাওয়া শেষ হলেই বিয়ের কাজ সম্পন্ন হবে। কিন্তু শাপলা এখনই সংসার পাততে চায় না। তাই বিয়ে ঠেকাতে বান্ধবীদের পরামর্শ নেয় সে।
এরপর তাদের সহযোগিতায় মুক্তাগাছা থানার ওসির ফোন নম্বর সংগ্রহ করে শাপলা ওসিকে ফোন করলে তার ফোন পেয়ে বাড়িতে পুলিশ হাজির হয়ে শাপলার বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেয়। এ সময় বাল্য বিয়ে আয়োজনের অপরাধে আটক করা হয় শাপলার বাবা শামীম মিয়া ও বরের ভাই সেলিমকে। পুলিশ দেখে পালাতে শুরু করেন বরযাত্রীরা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে বিয়েও বন্ধ হয়।
এ ঘটনার পর কনের বাবা শামীম মিয়া বলেন, ‘তার শিক্ষা হয়েছে। এখন তিনি মেয়েকে লেখাপড়া শেখাবেন। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে তার বিয়ে দেবেন না।’
মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, ‘শাপলা আক্তারের সাহসিকতা দেখে অবাক হয়েছি। সে ফোন করে লেখাপড়া করার আগ্রহের কথা জানিয়ে বিয়ে ভেঙে দেওয়ার আকুতি জানালে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠিয়ে বিয়ে বন্ধ করা হয়। পরে কনে ও বরের পরিবারের সদস্যদের মুচলেকা নিয়ে সাবধান করে দেওয়া হয়েছে বলে আরও জানান তিনি।
ওডি/এসএইচএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড