গৃহবধূর গলায় ছুরি চালিয়ে থানায় হাজির যুবক

তাহমিনা আক্তার রিপা (২৫) নামে এক গৃহবধূর গলায় ও হাতে ছুরি চালিয়ে হত্যাচেষ্টা করেছে মাসুদ নামে এক যুবক। পরে নিজেই থানায় হাজির হয়ে হত্যাচেষ্টার কথা জানালে পুলিশ তাকে আটক করে।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পৌর শহরের কোর্ট ভবন এলাকায়। পরে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত গৃহবধূকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মমেক) প্রেরণ করে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, গফরগাঁও উপজেলার রসুলপুর গ্রামের তফাজ্জল হোসেন, স্ত্রী তাহমিনা আক্তার রিপা ও দুই সন্তানকে নিয়ে পৌর শহরের কোর্ট ভবনের সামনে ভাড়া বাড়িতে বসবাসের পাশাপাশি মুদি দোকান চালান। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার সালটিয়া ইউনিয়নের জালেশ্বর গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে ও কোর্ট ভবনের সামনের টেইলারিং দোকানের মালিক মাসুদ হঠাৎ রিপার বাসায় প্রবেশ করে। এ সময় রান্নার কাজে ব্যস্ত থাকাবস্থায় গৃহবধূ রিপাকে মুখ চেপে মেঝেতে ফেলে তার গলায় চাকু চালায় মাসুদ। এতে রিপার গলার বেশ কিছু অংশ কেটে যায়। পরে রিপা বাঁচার জন্য ছটফট করলে মাসুদ গৃহবধূর ডান হাতের কবজিতেও চাকু চালায়।

হত্যাচেষ্টার দায়ে আটককৃত যুবক মাসুদ (ছবি : দৈনিক অধিকার)

এরপর পর বখাটে মাসুদ নিজে গফরগাঁও থানায় গিয়ে গৃহবধূকে জবাই করে হত্যা করেছে বলে পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ তাকে আটক করে এবং দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত গৃহবধূকে উদ্ধার করে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে ওই গৃহবধূর অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

গৃহবধূর ভাই এনামুল হক জানান, ‘মাসুদ একজন বখাটে ও নেশাগ্রস্ত যুবক। সে আমার বোনকে বাসায় একা পেয়ে কোনো কারণ ছাড়াই গলাকেটে হত্যার চেষ্টা করে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে ফেলে যায়। পরে নিজেই থানায় গিয়ে খবর দিলে পুলিশ এসে আমার বোনকে উদ্ধার করে।’

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অনুকুল সরকার জানান, মঙ্গলবার দুপুর পৌনে দুইটার দিকে রক্তাক্ত জামা কাপড় পরা অবস্থায় রক্ত লাগা ছুরি হাতে থানায় উপস্থিত হয় মাসুদ। পরে সে গৃহবধূ রিপার হাতের রগ ও গলাকাটার কথা জানায়। এ সময় মাসুদকে আটক করা হয় এবং ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ রিপাকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান গফরগাঁও থানা পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

ওডি/আইএইচএন