অধিকার ডেস্ক ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৫:৫২
রিফাত শরীফ হত্যা মামলার সাক্ষী থেকে আসামি হওয়া তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি চিকিৎসা নিতে ঢাকা আসছেন বলে তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় বরগুনা লঞ্চঘাট থেকে এমভি শাহরুখ লঞ্চে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন মিন্নি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর, নানা জাকির সিকদার ও একজন আত্মীয়।
মিন্নির বাবা বলেন, জামিনে কারামুক্ত হওয়ার পর থেকেই আমার মেয়ে মিন্নি শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ। কারো সঙ্গে কথা বলে না। ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করে না। দিনকে দিন মিন্নি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। মিন্নির চিকিৎসার পাশাপাশি আমাদের পরবর্তী আইনি লড়াইয়ের জন্য আইনজীবীদের সাথেও পরামর্শ করে আসব।
১৬ জুলাই সকাল পৌনে ১০টার দিকে মিন্নিকে তার বাবার বাড়ি বরগুনা পৌর শহরের নয়াকাটা-মাইঠা এলাকা থেকে পুলিশ লাইনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে একই দিন রাত ৯টায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
পরদিন মিন্নিকে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ১৯ জুলাই মিন্নি বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে একই আদালতে তিনি আবার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন করেন।
২৬ জুন সকাল সোয়া ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি হামলাকারীদের সঙ্গে লড়াই করেও তাদের দমাতে পারেননি। গুরুতর আহত রিফাতকে ওইদিন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও পাঁচ-ছয় জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ওডি/এসএইচএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড