ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহে এবার অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের বাজার। প্রতিদিনই হুড় হুড় করে বেড়ে চলেছে দাম। গেল ৩ দিন আগে বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনার পরও কমেনি দাম, শুরু হয়নি টিসিবি পেঁয়াজ বিক্রি কার্যক্রম। ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে সাধারণ ক্রেতারা।
জানা গেছে, বর্তমানে জেলা শহরের নতুন হাটখোলা, শৈলকুপাসহ বিভিন্ন পাইকারি পেঁয়াজের হাটে তিন দিনের ব্যবধানে পিয়াজের দাম ২০০-৪০০ টাকা বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫শ টাকা থেকে ২ হাজার ৬শ টাকা মণ দরে।
খুচরা বাজারে প্রকার ভেদে এ পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ১০ দিন আগেও প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। প্রতিদিন এমন দাম বৃদ্ধিতে আর বাজার নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে ওঠায় চরম বিপাকে পড়েছেন মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্ন আয়ের মানুষ।
ক্রেতারা জানায়, মধ্যবিত্তদের জন্য বাজার করা দুঃসাধ্য হয়ে উঠছে। বাজেটে যা থাকছে খরচ হচ্ছে তার চেয়ে বেশী। পেঁয়াজ দুই কেজি কেনার ইচ্ছা থাকলেও কিনতে হচ্ছে এক কেজি। কেননা দাম প্রতিদিনই বাড়ছে।
জেলা শহরের নতুন হাটখোলা বাজারের এক পাইকার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী জানান, প্রতিদিনই পেঁয়াজের দাম মণ প্রতি ২শ টাকা করে বাড়ছে। বেশী দামে কিনে বেশী দামে বিক্রি করতে হচ্ছে, কারণ আমরা তো কিছু লাভ করবো।
তিনি আরও বলেন, সরকারিভাবে যদি টিসিবি পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হত তাহলে হয়তো বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে যেত।
এদিকে অন্যান্য পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানায়, বাজারে আমরা আগে ২০ বস্তা পেঁয়াজ কিনতাম, সেখানে এখন ১০ বস্তা কিনতে হচ্ছে। চাষীরা পেঁয়াজের যোগান দিতে পারছে না। কারণ অনেক চাষীর পেঁয়াজ ঘরে থেকে পঁচে যাচ্ছে। ফলে বাজারে সরবরাহ কম হচ্ছে আর দাম বেড়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে ভারতীয় যে পেঁয়াজ সরকার আমদানি করছে তা ঝিনাইদহে চলে না। মানুষ খেতে চায় না।
এদিকে জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা গোলাম মারুফ খান জানান, পেঁয়াজের বাজার মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আছে। সামনে আরও কমে যাবে।
তিনি আরও বলেন, টিসিবি যেহেতু খুলনা থেকে নিয়ন্ত্রণ হয় তাই সেখানে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে মাল তুলে জেলায় বিক্রি শুরু হতে ৫ থেকে ৭ দিন সময় লেগে যেতে পারে।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড