ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের মহেশপুরের দত্তনগর কৃষি বীজ উৎপাদন খামারে বীজ আত্মসাতের ঘটনায় ইতোমধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।
এই কমিটির সদস্যরা হলেন- ঢাকা বিএডিসির সদস্য পরিচালক (অর্থ) মোমিনুর রশিদ আমিন, ব্যবস্থাপক (বিক্রয়) সার ব্যবস্থাপনা আবুল কালাম আজাদ, উপপরিচালক সংস্থাপন রাজিব হোসেন।
দত্তনগর কৃষি বীজ উৎপাদন খামারের যুগ্ম পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সেলিম হায়দার দৈনিক অধিকারকে জানান, তদন্ত কমিটি একবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তারা হয়তো আবার স্পটে যাবেন। তারপর তদন্ত প্রতিবেদন জমা হবে।
তিনি আরও জানান, ১২৯ মেট্রিকটন ধান বীজ আত্মসাতের যে অভিযোগ উঠেছে এটি খুব একটা সত্য নয়। এ কারণেই এটি আত্মসাৎ নয়। কর্মকর্তারা দত্তনগর থেকে যে ধান বীজ যশোর বীজ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে পাঠিয়েছে সেটার চালান ও অন্যান্য কাগজপত্রে কিছুটা ত্রুটি ছিল। বীজগুলো যশোর গুদামে জমা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি মৌসুমে হেক্টর প্রতি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ থেকে দেড় টন ধান বীজ কম উৎপাদন দেখানো হয়। ফলে এই পরিমাণ ধান গোপনে যশোর বীজ প্রক্রিয়া কেন্দ্রের অভিযুক্তরা শোধন করে বিক্রি করেছেন বলে জানা গেছে।
দত্তনগর কৃষি ফার্মের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু শ্রমিক জানান, প্রতি মৌসুমে কোন জমিতে কত পরিমাণ বীজ উৎপাদন হবে তার একটি আগাম তালিকা করা হয়।
উল্লেখ্য, বীজ উৎপাদন খামারে ২০১৮-১৯ উৎপাদন বর্ষে অতিরিক্ত ১২৯ দশমিক ২২ মেট্রিকটন এসএল-৮ এইচ হাইব্রিড জাতের ধান বীজ গুদামে মজুদ করা হয়। বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য এ মজুদের তথ্য গোপন রাখা হয়। এমনকি পক্রিয়াজাত বীজ গুদামে রাখার চালানের কোনো তথ্য প্রমাণও স্ব স্ব খামারের উপপরিচালকের দপ্তরে রাখা হয়না। হঠাৎ করে এ বিষয়টি বিএডিসির ওপর মহলে জানাজানি হয়। উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে বেড়িয়ে আসে দুর্নীতির খবর।
ওডি/এসজেএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড