খুলনা প্রতিনিধি
শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। খুলনার খালিশপুরের বাস্তুহারা কলোনির শিশু আফসানা মিমিকে (১৪) গণধর্ষণের পর হত্যা মামলার রায়ে এ দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এ মামলায় চার আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল পৌনে চারটার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- খালিশপুর থানাধীন বাস্তুহারা কলোনির বাসিন্দা প্রয়াত আব্দুল কাদের হাওলাদারের ছেলে মো. বাবুল হাওলাদার ওরফে কালা বাবুল (৩৮) ও একই এলাকার বাসিন্দা সাদেক হোসেনের ছেলে এমদাদ হোসেন (৩৭)।
এ মামলায় খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- ওই এলাকার মোজাফ্ফর আহমেদের ছেলে মো. আশা মিয়া (২২), মো. আব্দুল বাশার হাওলাদারের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলি (২৪), প্রয়াত ফজলুর রহমানের ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম ওরফে জাহিদ (৪০), আব্দুল মোতালেব হাওলাদারের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম (৩৫)।
মামলার বাদী মো. ইমাম হোসেন এ রায়ে সন্তুষ্ট হয়ে বলেন, আসামিদের দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করতে হবে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১৫ নভেম্বর রাত ৭টায় বাস্তুহারা কলোনির বাসিন্দা মো. ইমাম হোসেনের ১৪ বছরের শিশু কন্যা আফসানা মিমি ২ টাকা নিয়ে ঝাঁলমুড়ি কিনতে যায়। পরে অনেক সময় পার হলেও সে বাড়ি ফিরে না আসায় খোঁজাখুজি করে তাকে না পেয়ে ইমাম হোসেন রাতেই খালিশপুর থানায় জিডি করেন। পরের দিন দুপুর ৩টার দিকে মাদ্রাসার খাদেম কুদ্দুস, আফসানা মিমির লাশ বাস্তুহারা দিঘিতে পেয়ে ইমাম হোসেনকে খবর দেন।
এ ঘটনায় ইমাম হোসেন খালিশপুর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করলেও ইমাম হোসেন এজহারে উল্লেখ করেন এলাকার কালা বাবুল, কাদের ও এমদাদসহ অন্যান্যরা তার মেয়ে আফসানা মিমিকে উত্ত্যক্ত করত। ২০১০ সালের ২৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু মোকাদ্দেশ আলি আদালতে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ।
ওডি/এসএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড