সোনারগাঁও প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ
মাতৃত্বকালীন ছুটি, ছুটিকালে ভাতা প্রদান, মাসিক বেতন ৮ তারিখের মধ্যে পরিশোধ ও ভাতা বৃদ্ধিসহ চার দফা দাবিতে টানা দুই দিন ধরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুরের সিনহা গার্মেন্টসের শ্রমিকরা ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছেন।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে গার্মেন্টেসের ফটকের সামনে অবস্থান নিয়েও ৮টার দিকে মহাসড়কে অবস্থান নেন। সোনারগাঁও থানা পুলিশ, কাঁচপুর শিল্প পুলিশ ও কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের রাস্তা ছেড়ে দিতে অনুরোধ করলেও তারা পুলিশের সেই অনুরোধ শোনেনি।
পরে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের বিতর্কের এক পর্যায়ে পুলিশ শ্রমিকদের ওপর জল কামান ও টিয়ার শেল ছুড়ে মারলে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষ বেধে যায়। শ্রমিকরাও এক সময় পুলিশের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে গোটা কাঁচপুর এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশসহ ২০ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। পুলিশের অভিযানে শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেলেও অবরোধের কারণে দুইটি মহাসড়কের তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
উল্লিখিত ওই চার দফা দাবিতে সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুরে সিনহা গার্মেন্টসের শ্রমিকরা শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে কারখানা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। পরে শ্রমিকরা লাঠিসোটা নিয়ে কারখানার প্রধান ফটকের বাইরে গিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করলে নিরাপত্তাকর্মী ও পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ এ সময় কারখানা এক দিনের জন্য ছুটি ঘোষণা করে।
সিনহা গার্মেন্টসের আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, সিনহা গার্মেন্টসে চার দফা দাবি দীর্ঘদিন ধরে করা হলেও কারখানা কর্তৃপক্ষ তা কর্ণপাত করছে না। তাই শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে তাদের কাজ বর্জন করে বিক্ষোভ মিছিল করছে। পুলিশ মালিক কর্তৃপক্ষের ইন্ধনে আমাদের লাঠিচার্জ করে আমাদের ওপর গুলি বর্ষণ করেছে। এতে আমাদের ১০ জন শ্রমিক আহত হয়েছে।
সোনারগাঁও থানার ওসি মনিরুজ্জামান মনির বলেন, কাঁচপুরের সিনহা গার্মেন্টসে শ্রমিক অসন্তোষের খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ও তার নেতৃত্বে থানা পুলিশের কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে আসি। এ সময় পুলিশ অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেয় ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে শ্রমিকরা পুলিশের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করে বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং পুলিশের ওপর ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। পুলিশ মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলে আন্দোলন থামানোর চেষ্টা করছে।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড