গাইবান্ধা প্রতিনিধি
এবারের ভয়াবহ বন্যায় গাইবান্ধার সদর উপজেলা, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সম্প্রতি বন্যায় ২২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ হয়ে যায়। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে পানি নেমে যাওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ২০৮টিতে ক্লাস শুরু হয়।
এ দিকে, ফুলছড়ি উপজেলার হারোডাঙ্গা, ধলিপাটাধোয়া, কেতকীরহাট, জামিরা, আঙ্গারীদহ, গাইবান্ধা সদর উপজেলার চিথুলিয়ার চর, চিথুলিয়া দিগর নতুন পাড়া, বাজে চিথুলিয়া, মৌলভীর চর, কেবলাগঞ্জ, সুন্দরগঞ্জের উজানবুড়াইল, চরপূর্ব লাল চামার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বন্যার সময় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
কিন্তু ভাঙনের তোড়ে ভবনগুলোর সঙ্গে ব্রহ্মপুত্রের গর্ভে হারিয়ে গেছে বিদ্যালয়ের আসবাব, বেঞ্চ, টেবিলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র। হারিয়ে যাওয়া বিদ্যালয় ভবনের পাশে গাছতলা ও ছাপরাঘরে বসে চলে পাঠদান। সামনে সমাপনী পরীক্ষা। এমন বিরূপ পরিবেশের কারণে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি অনেক কম। ফলে চলতি বছর ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন শিক্ষকসহ অন্যরা।
খুদে শির্ক্ষাথী সুমি বলেন, ‘আমাদের স্কুল নদীতে ভেঙে গেছে। মাটিতে বসে পড়তে ভালো লাগে না। আমাদের পড়াশুনা করতে খুব অসুবিধা হচ্ছে। আর কয়েকদিন পরে আমাদের সমাপনী পরীক্ষা, আমরা মাটিতে বসে কীভাবে পরীক্ষা দেব। আমদের স্কুল কি আগের মতো হবে না বলেও আক্ষেপ প্রকাশ করে শিক্ষার্থী সুমি।
কেতকির হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক বলেন, খোলা জায়গায় ক্লাস নিতে গিয়ে নানা ধরনের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। সামনে সমাপনী পরীক্ষা। একই সঙ্গে শিশু শ্রেণিসহ ছয়টি ক্লাস নিতে গিয়ে কোলাহলপূর্ণ খোলা জায়গায় মনসংযোগ হারিয়ে ফেলেন শিক্ষকরা। রোদ-বৃষ্টিতে সংকট বাড়ে।
গাইবান্ধা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেন আলী জানান, বন্যায় নদী ভাঙনে ১২টি স্কুল বিলীন হয়ে গেছে। এর মধ্যে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ২টি, ফুলছড়ি উপজেলায় ৫টি ও গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ৫টি। এ বিষয়ে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড