হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
আসামি গ্রেফতার করতে গিয়ে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় ওসি (তদন্ত), এসআই ও দুই কনস্টেবলকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় জড়িত চারজনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
এ দিকে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
কারাগারে প্রেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করে নবীগঞ্জ থানার ওসি ইকবাল হোসেন জানান, আটককৃত চারজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া সন্ত্রাসী মুছাসহ অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে নবীগঞ্জ পৌর এলাকার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, মাদক কারবারি ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শাহ সোহান আহমেদ মুছাকে গ্রেফতার করতে যায় পুলিশ। এ সময় মুছা ও তার লোকজনের হামলায় নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) উত্তম কুমার দাশ (৪০) ও এসআই ফখরুজ্জামানসহ (৩৫) অপর দুইজন কনস্টেবল গুরুতর আহত হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওসি উত্তম কুমার দাশকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসী মুছার বোনসহ চারজনকে আটক করে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা।
প্রকাশ, ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারিতে পুলিশ ও র্যাবের যৌথ বাহিনী সন্ত্রাসী মুছার পুরো বাড়ি ঘিরে ফেলে। প্রায় দুই ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে মুছাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় যৌথবাহিনী। এ সময় মুছার স্বীকারোক্তিতে ৫৬৭ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
যেভাবে দুর্ধর্ষ হয়ে ওঠে মুছা:
২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে ছাত্রলীগ নেতা হেভেনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এ সময় মুছাকে ওই হত্যা মামলার আসামি করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই চরম বেপরোয়া হয়ে ওঠে মুছা। এরপর থেকেই সে একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নবীগঞ্জ শহরসহ এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।
সম্প্রতিকালে সে দিনে-দুপুরে নবীগঞ্জ শহরের ওসমানী রোডের হীরা মিয়া গার্লস স্কুলের সামনে প্রকাশ্যে অস্ত্র দেখিয়ে তিনটি দোকানে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাটসহ তিনটি মোটরসাইকেল ও সাত লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এর আগে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর বিকালে মুছা শ্রমিক নেতা হেলাল আহমদের বাড়ির সীমানায় বেড়া দিয়ে ওই পরিবারের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়।
এ বিষয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসআই সুজিত চক্রবর্তীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযোগের তদন্ত করতে গেলে মুছা ও তার পরিবারের সদস্যদের রোষানলে পড়ে। এক পর্যায়ে মুছাকে গ্রেফতার না করে ফিরে আসতে বাধ্য হয় পুলিশ। সাম্প্রতিক সময়ে মুছার এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নবীগঞ্জ শহরে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
ওডি/আইএইচএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড