সারাদেশ ডেস্ক
ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ১০টি গুরুত্বপূর্ণ আলামত জব্দ করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কর্মকর্তারা। এ আলামতগুলোর মধ্যে ১০টি ম্যাচের কাঠির পোড়া অংশও রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) মামলার সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আলামত জব্দের তথ্যটি নিশ্চিত করেন। ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে নুসরাত হত্যা মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দ্বিতীয় বিষয়টি উপস্থাপন করেন। তবে এখনো তার যুক্তিতর্ক শেষ হয়নি। রবিবার (১৫ আগস্ট) যুক্তি-তর্কের পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আদালতে পিপি হাফেজ আহম্মদ তার যুক্তি উপস্থাপন পর্বে বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের ঘটনার প্রমাণ হিসেবে ঘটনার পর মাদ্রাসার ছাদসহ বিভিন্ন স্থান থেকে সোনাগাজী থানা-পুলিশ ও পিবিআই কর্মকর্তারা ১০টি গুরুত্বপূর্ণ আলামত জব্দ করেন। গত ৬ এপ্রিল সকালে পরীক্ষার আগে নুসরাতকে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে অগ্নিদগ্ধ করার পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’
গুরুত্বপূর্ণ ১০টি আলামতের তালিকায় ম্যাচের কাঠি ছাড়াও রয়েছে কেরোসিন মিশ্রিত পলিথিন। এছাড়া বাকি আলামতগুলো নুসরাত জাহানের পরনে ছিল বলে জানান পিপি হাফেজ আহম্মদ ।
তিনি বলেন, ‘সোনাগাজী থানা-পুলিশের শিক্ষানবিশ উপপরিদর্শক (পিএসআই) ডিএইচএম জহির রায়হান ঘটনাস্থল মাদ্রাসার ছাদে গিয়ে একটি কালো রঙের কেরোসিন মিশ্রিত পলিথিন, একটি সবুজ রঙের সালোয়ারের পোড়া অংশ, বাটিকের ওড়নার পোড়া একটি অংশ, একটি পাথরের পুথির কাজ করা কালো রঙের আগুনে পোড়া বোরকা, এক জোড়া নেভি ব্লু রঙের জুতা, ১০টি ম্যাচের কাঠির পোড়া অংশ ও একটি নীল রঙের রাবারের ম্যাট উদ্ধার করেন।’
এছাড়া নুসরাত হত্যার সময় খুনীরা যে বোরকা ব্যবহার করে তা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান এ কৌঁসুলি। আদালতে তিনি বলেন, ‘বোরকাগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। তা ছাড়া শাহাদাত হোসেন শামীম বাজারের যে দোকান থেকে কেরোসিন কেনেন, সেটাও শনাক্ত ও জব্দ করা হয়েছে। শামীমের মোবাইলটিও জব্দ করা হয়।’
ওডি/এমএমএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড