• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

নেকাব খুলে নুসরাতকে আপত্তিকর প্রশ্ন করেন ওসি মোয়াজ্জেম

  অধিকার ডেস্ক

১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৩:৫০
নুরসরাত জাহান রাফি ও ওসি মোয়াজ্জেম
নুরসরাত জাহান রাফি ও ওসি মোয়াজ্জেম (ছবি : সংগৃহীত)

আলোচিত ফেনীর সোনাগাজীর নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন নুসরাত জাহান রাফির মা ও ভাই।

বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) সাইবার ট্রাইব্যুনালের (বাংলাদেশ) বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন।

এ সময় রাফির ছোট ভাই বলেন, ওসি মোয়াজ্জেম তার রুমে আপুকে (রাফিকে) ডেকে নিয়ে তার মুখের পর্দা (নেকাব) খুলে আপত্তিকর প্রশ্ন করেছেন। এ মামলায় মা ও ভাইসহ পাঁচজনের সাক্ষ্য নেয়া হলো। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।

ট্রাইব্যুনালে নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বলেন, ২৭ মার্চ রাফিকে নিয়ে আমরা থানায় যাই। এরপর ওসি মোয়াজ্জেম রুমে তাকে (রাফি) ডেকে নেয়। সেখানে অন্যদের যেতে দেয়া হয়নি। কিছু সময় পর ওসির রুম থেকে বেরিয়ে রাফি জানায়, তার কথোপকথন কেউ ভিডিও করেছে। এর ৩০ মিনিট পর ওসি মোয়াজ্জেম সেই ভিডিও মিডিয়াতে ছেড়ে দেন।

আদালতে রাফির ছোট ভাই রাশিদুল হাসান রায়হান বলেন, সোনাগাজী থানায় মামলা করতে গেলে ওসি মোয়াজ্জেম তার রুমে আপুকে (রাফিকে) ডেকে নেন। এরপর ওসির রুম থেকে বেরিয়ে এসে আপু কান্না করতে থাকে। আপু বলে, ওসি মোয়াজ্জেম তার মুখের পর্দা খুলে আপত্তিকর প্রশ্ন করেছেন।

মামলা করার পর আমরা চলে আসি। ১২ এপ্রিল ফেসবুকে দেখতে পাই, আপুকে ওসি মোয়াজ্জেম আপত্তিকর প্রশ্ন করছেন। ওইদিন ওসি মোয়াজ্জেম আইনি সহায়তা দিলে আপুকে আজ পরপারে (মৃত্যুবরণ) যেতে হতো না।

এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ সাক্ষীদের জেরা করেন। সাক্ষ্যগ্রহণের সময় মোয়াজ্জেমকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

জেলা জজ আদালতের পিপি হাফেজ আহাম্মদ, একেএসএম ফরিদ আহাম্মদ হাজারী ও বাদীপক্ষের আইজীবী এম শাহজাহান সাজু বলেন, শুরু থেকে মামলার বিচার বিলম্বিত করার সব প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আসামিপক্ষ। তবে মাত্র ৪০ কার্যদিবসে ৮৭ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত। রবিবার সব আসামির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে এবং বুধবার থেকে যুক্তিতর্ক শুনানি শুরু হয়েছে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন আহমেদ নান্নু ও কামরুল হাসান এবং আহসান কবীর বেঙ্গল বলেন, পিপির অভিযোগ ভিত্তিহীন। তারা বলেন, রাফি হত্যার প্রত্যক্ষ সাক্ষী হাজির করতে মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআই ব্যর্থ হয়েছে। এত অল্প সময়ে ৮৭ জনের সাক্ষ্য নেয়াও নজিরবিহীন।

এ মামলার মোট ৯২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৮৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়।

চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৬ এপ্রিল ওই মাদ্রাসার সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে রাফির শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় অধ্যক্ষের সহযোগীরা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাফি মারা যান।

ওডি/এসএস

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড