ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে মারধরকে কেন্দ্র করে দুইদল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় হুমায়ূন মিয়া (২৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে বারোটার দিকে ঢাকা নেয়ার পথে হুমায়ূন মিয়ার মৃত্যু হয়। তার আগে বুধবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার ধোপাঘাট বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উপজেলার রাওনা গ্রামের মতিন মিয়ার ছেলে হুমায়ূন মিয়া (২৮)।
এ ঘটনায় হুমায়ূনের ছোটভাই জজ মিয়া (২৬) ও তার মা রাহেনা খাতুন (৭০) আহত হয়েছেন। নিহত হুমায়ূনের ছোটভাই জজ মিয়াকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গফরগাঁও উপজেলার রাওনা গ্রামের মতিন মিয়ার বাড়ির লোকজনের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ধোপাঘাট গ্রামের শহর মেম্বারের বাড়ির লোকজনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে বুধবার বিকালে সাড়ে ৪টার দিকে ধোপাঘাট গ্রামের লোকজন রাওনা গ্রামের কাঞ্চন মিয়াকে মারধর করে। পরে এর জেরে রাত ৮টার দিকে ধোপাঘাট গ্রামের লোকজন রাওনা গ্রামের মতিন মিয়ার বাড়িতে হামলা চালায় এবং হুমায়ূনের বৃদ্ধ মা রাহেনা খাতুনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। সেই সঙ্গে তারা ধোপাঘাট বাজারে গিয়ে রাওনা গ্রামের ইসমাইলের চা স্টল ভাঙচুর করে।
এ ঘটনার খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে হুমায়ূন ও জজের নেতৃত্বে রাওনা গ্রামের বেশ কয়েকজন লোক ধোপাঘাট বাজারে যায়। এ সময় ধোপাঘাট গ্রামের শরীফুল, নয়ন, ছাইদুল, সিরাজের নেতৃত্বে রাওনা গ্রামের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে রাওনা গ্রামের মতিন মিয়ার ছেলে হুমায়ূন ও জজকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু তাদের অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঢাকা নেওয়ার পথেই হুমায়ূনের মৃত্যু হয়।
গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) অনুকূল সরকার এ ব্যাপারে জানান, এ ঘটনার পর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে। নিহতের ঘটনায় পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে আরও জানান তিনি।
ওডি/এসজেএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড