• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

পাল্টে গেছেন মিন্নি, স্বামীর স্মৃতিতে কাতর, নিরবে কাঁদেন!

  অধিকার ডেস্ক

১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৮:০০
আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি
স্বামী রিফাত শরীফের সঙ্গে আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি (ফাইল ফটো)

বিধবা আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি আছেন বাবার বাড়িতে। তিনি তার স্বামী রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী ও আসামি। এ মামলায় মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হন তিনি।

দুই শর্তে হাইকোর্টের রায়ে জামিন পেয়ে মিন্নি তার বাবা মোজ্জাম্মেল হোসেন কিশোরের জিম্মায় রয়েছেন। তার পরিবারের সদস্যরা জানান, মিন্নি খুবই অসুস্থ, তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। তবে মামলার পরবর্তী তারিখ কাছাকাছি হওয়ায় তাকে ভালো কোনো হাসপাতালে ভর্তি করানো যাচ্ছে না। তাই বাড়িতেই তার চিকিৎসা হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শারীরিক অসুস্থতাই এখন কারামুক্ত মিন্নির সঙ্গী। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন হিসেবে বাবার বাড়িতে জীবনযাপন করছেন। তিনি মা-বাবা ছাড়া কারও সঙ্গে কথা বলেন না। কেউ কিছু জানতে চাইলে উত্তরও দেন না, শুধু ফেলফেল করে তাকিয়ে থাকেন। পুলিশ নির্যাতন করেছে কি না জিজ্ঞেস করলে চোখের পানি গড়িয়ে পড়ে তার গাল বেয়ে। মুখ ফোটে কিছুই বলেন না। কি যেন অব্যক্ত কষ্ট পাথর চাপা দিয়ে রেখেছেন বুকে।

মিন্নির বন্ধু ও স্বজনরা বলেন, মিন্নি পাল্টে গেছে, আগের মতো নেই। সে হাস্যোজ্জ্বল ছিল, সব সময় হাসত, চঞ্চল আর সদালাপী ছিল। এখন একেবারেই বদলে গেছে, সারাক্ষণ চুপচাপ থাকে। অসুস্থ মিন্নি এখন স্বামী রিফাত শরীফের স্মৃতিতে কাতর। বিষণ্ণতা নিয়ে একাকি ঘরে দিন কাটে তার। মিন্নির এমন জীবনযাপনে স্বজনরা চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন।

মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, মেয়েটার ওপর পুলিশ হেফাজতে নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। তার দুই হাঁটুতে কালো দাগ রয়েছে, হাঁটুর ব্যথায় হাঁটতে পারে না। কারো সঙ্গে কথা বলে না, খেতেও চায় না। সব সময় নিজের ঘরে চুপচাপ থাকে। মিন্নি যে ঘরে থাকে সেই ঘরে তার স্বামী রিফাতের সঙ্গে অনেক স্মৃতি। এসব স্মৃতি মিন্নিকে আপ্লুত করে। ঘুমের মধ্যেও কেঁদে ওঠে, চিৎকার করে মিন্নি।

মিন্নির বাবা আরও বলেন, মেয়েটি আমার ভীষণ অসুস্থ। তাকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন। কয়দিন পর মামলার ধার্য তারিখ আছে। ওই তারিখে মিন্নিকে আদালতে হাজির হতে হবে। ওই তারিখের পর তাকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করব।

গত ২৬ জুন রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরদিন রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এতে প্রধান সাক্ষী করা হয়েছিল মিন্নিকে। পরে মিন্নির শ্বশুর তার ছেলেকে হত্যায় পুত্রবধূর জড়িত থাকার অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করলে ঘটনা নতুন দিকে মোড় নেয়।

ওডি/এসজেএ/এমআর

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড