যশোর প্রতিনিধি
ভালোবাসার মানুষটি ঠকিয়ে ভারতে চলে গেছে শুনেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে কলেজছাত্রী সাথী হালদার (১৭)। রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রোজিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
নিহত কলেজছাত্রী সাথী হালদার মণিরামপুর উপজেলার রোজিপুর গ্রামের প্রভাষক সুভাষ হালদারের মেয়ে এবং ভবদহ কলেজের এইচএসসির ১ম বর্ষের ছাত্রী।
এ ঘটনায় সোমবার মণিরামপুর থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার মামলা করা হয়। মামলার আসামিরা হলেন- কেশবপুর উপজেলার পাঁজিয়া গ্রামের বিকাশ পাল ও তার ছেলে পংকজ পাল, পীর আলীর ছেলে হারুন সরদার, শহিদুল ইসলাম এবং একই উপজেলার পাথরঘাটা গ্রামের আব্দুর রহিম।
নিহত সাথীর বাবা সুভাষ হালদার জানান, সাথী কলেজে যাওয়া আসার সময় কেশবপুর উপজেলার পাঁজিয়া গ্রামের বিকাশ পালের ছেলে পংকজ পালের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের জের ধরে বুধবার পংকজ পাল তার মেয়েকে খুলনায় নিয়ে একদিন রেখে বৃহস্পতিবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে রবিবার সকালে কেশবপুর উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের অপরিচিত দুজন ছেলে বাড়িতে এসে সাথীকে বলে পংকজকে তার বাবা ভারতে পাঠিয়ে দিয়েছে। এ কথা শুনে সে স্তব্ধ হয়ে যায়। পরে বিকালে বাড়িতে এসে মেয়েকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে একপর্যায়ে দ্বিতল বাড়ির চিলেকোটায় আঁড়ার সঙ্গে ঝুলতে দেখেন। এ সময় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
পরে খবর পেয়ে যশোরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রাকিব হাসান, ওসি রফিকুল ইসলাম, ওসি (তদন্ত) সিকদার মতিয়ার রহমান ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিকদার মতিয়ার রহমান জানান, এ ঘটনায় থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে ৫ জনের নামে মামলা দায়ের হয়েছে। তাদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড