কুড়িগ্রামে নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির ঘটনায় গ্রেফতার ৬

কুড়িগ্রামে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেফতার করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে কুড়িগ্রাম কালেক্টরেটের এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হাসানের ভ্রাম্যমাণ আদালতে এ সাজা প্রদান করা হয়।

সাজা প্রাপ্তরা হলেন- মাহবুবার রহমান, মনিরুজ্জামান, মামুনুর রশিদ, কামরুল হাসান, সোহেল আহম্মেদ ও রফিকুল ইসলাম।

কুড়িগ্রাম কালেক্টরেটের এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হাসান জানান, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে চারটি ক্যাটাগরিতে ১৯টি শূন্য পদে লিখিত নিয়োগ পরীক্ষা ছিল শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর)।

লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত থেকে পর দিন রবিবার সকাল পর্যন্ত। এ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া যায় ছয়জনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ছয়জনকে মোবাইল কোর্টে তাদের নিজ নিজ অপরাধ স্বীকার করায় তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।

এদের মধ্যে লালমনিরহাট জেলা সদরের নজির হোসেনের ছেলে মাহবুবার রহমান, তাকে পাবলিক পরীক্ষা আইনে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ৫শ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের জেল দেওয়া হয়। কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার আজোয়াটারী গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে মো. মনিরুজ্জামানকে একই অপরাধে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। উলিপুর উপজেলার তবকপূর ইউনিয়নের সেলিম উদ্দিনের ছেলে মামুনুর রশিদকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। চিলমারী উপজেলার কিসামত বানু এলাকার তোজাম্মেল হকের ছেলে কামরুল হাসানকেও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। সদর উপজেলার কালে মৌজার মৃত মতিয়ার রহমানের ছেলে সোহেল আহম্মেদকে বিশ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং নাগেশ্বরী উপজেলার দক্ষিণ রামখানা গ্রামের আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে রফিকুল ইসলামকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ২শ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিন দিনের কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করে তাদের সকলকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন জানান, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষতা বজায় রেখে দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। কতিপয় ব্যক্তি তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে স্বচ্ছ নিয়োগ পরীক্ষাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অপচেষ্টা চালায়। কিন্তু জেলা প্রশাসনের চৌকশ ও দক্ষ টিমের সক্রিয় তৎপরতায় তা ভেস্তে যায়। জালিয়াতির অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় ছয়জনকে চিহ্নিত করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের আওতায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।

ওডি/এএসএল