সারাদেশ ডেস্ক
নয় দফা দাবিতে গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ঐক্য পরিষদের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা পার হওয়ার পর চট্টগ্রাম বিভাগের নয় জেলায় রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভোর ছয়টা থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) নয় দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে পরিবহন ধর্মঘটের আল্টিমেটাম দিয়েছিল সংগঠনটি। এরপর গত শুক্রবার (৬ আগস্ট) বিকালে হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ডস্থ একটি গেস্ট হাউজে চট্টগ্রাম রাঙামাটি মোটর মালিক সমিতির সভাপতি সৈয়দ হোসেনের সভাপতিত্বে নয় দফা দাবি উত্থাপন করে দুটি জেলা বাদে চট্টগ্রাম বিভাগে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেন।
এরপর চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আলম শনিবার (৭ আগস্ট) রাতে বলেন, আমাদের নয় দফা মেনে নিতে প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টার সময় দিয়েছিলাম। প্রশাসন সাড়া দেয়নি। তাই রবিবার ভোর ছয়টা থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে যাচ্ছি।
রবিবার ভোর থেকে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কক্সবাজার, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলায় পণ্য ও যাত্রীবাহী কোনো গাড়ি চলবে না বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
তাদের দাবিগুলো হলো- গণ ও পণ্য পরিবহনের কাগজপত্র হালনাগাদ করার জন্য জরিমানা মওকুফ করতে হবে, জরিমানা মওকুফের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের নামে হয়রানি বন্ধ করতে হবে। বিআরটিএ ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ভোক্তা অধিকার আইন প্রয়োগ করে গণ ও পণ্য পরিবহনে কোনো অতিরিক্ত জরিমানা আদায় করা যাবে না। হাইওয়ে ও থানা পুলিশের গাড়ি জব্দ ও রিকুইজিশন বন্ধ করতে হবে, চট্টগ্রাম মেট্টো এলাকায় গাড়ির ইকোনোমিক লাইফের অজুহাত দেখিয়ে ফিটনেস ও পারমিট নবায়ন বন্ধ রাখা যাবে না। ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃক যান্ত্রিক ত্রুটিযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো অজুহাত দেখিয়ে গণ ও পণ্য পরিবহন ডাম্পিং করা যাবে না। চালক গাড়িতে থাকা অবস্থায় রেকার ভাড়া আদায় করা যাবে না, সহজ শর্তে চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করতে হবে। কাগজপত্র হালনাগাদের ক্ষেত্রে বিআরটিএর কার্যক্রমে ভোগান্তি বন্ধ করতে হবে। বৃহত্তর চট্টগ্রাম বিভাগের সড়ক ও মহাসড়কে সিএনজি চালিত অটো ও মেট্রো সিএনজি চলাচলের ক্ষেত্রে বিআরটিসির সিদ্ধান্ত কার্যক্রম করতে হবে। অননুমোদিত যান চলাচল বন্ধ করতে হবে এবং চাঁদাবাজদের টোকেন বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। সড়ক ও মহাসড়কে যত্রতত্র গাড়ি তল্লাশির নামে যাত্রী হয়রানি বন্ধ করতে হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে স্থাপিত ওয়ে স্কেল দুটি পরিচালনার দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে দিতে হবে এবং সারাদেশে একই নিয়মে ওয়ে স্কেল স্থাপন করতে হবে।
ওডি/ এফইউ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড