যশোর প্রতিনিধি
যশোরের শার্শার গোড়াপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই খায়রুল আসামির স্ত্রীকে ধর্ষণ করেছেন বলে আবারও সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ। এ দিকে, পুলিশ বাদে অন্যান্য আসামির নামে দায়েরকৃত ধর্ষণের মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নির্যাতিত ওই গৃহবধূ। এছাড়া ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার নথিপত্র একই দিন দুপুরে পিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
যশোর পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এম এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, শার্শার লক্ষ্মীপুরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার নথিপত্র শুক্রবার দুপুরে গ্রহণ করা হয়েছে। মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে এসআই মোনায়েম হোসেনকে।
এ ব্যাপারে এসআই মোনায়েম হোসেন খান বলেন, ‘মামলার কাগজপত্র পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন, ভিকটিমের সঙ্গে কথা বলাসহ আরও কিছু বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। এছাড়া মামলার সব ধরনের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।’
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাহউদ্দিন শিকদার পিবিআইতে মামলা হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২ সেপ্টেম্বর শার্শা উপজেলার লক্ষ্মীপুর এলাকায় ওই গৃহবধূকে পুলিশের এসআই খায়রুল আলম ও সোর্স কামরুজ্জামান ওরফে কামারুল সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। ওই দিন গভীর রাতে এসআই খায়রুল, সোর্স কামারুলসহ চারজন ওই গৃহবধূর বাড়িতে যান এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে হওয়া মাদক মামলা থেকে অব্যাহতির দাবিতে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। এ সময় টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে এসআই খায়রুল ও কামারুল তাকে ধর্ষণ করেন বলে ওই গৃহবধূ অভিযোগ করেন। পরে ৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে তিনি যশোর জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সেদিন বিকালে আলামত সংগ্রহ করেন যশোর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। পরে এসআই খায়রুল বাদে অন্য তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন অভিযোগকারী ওই গৃহবধূ।
ওডি/আইএইচএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড