রফিকুল ইসলাম রফিক, গাইবান্ধা
গাইবান্ধায় বন্যার পানি অনেক আগেই থেকে নেমে গেছে। পানি চলে গেলেও রেখে গেছে বিধ্বস্ত রাস্তাঘাট, বাড়ি-ঘরসহ গ্রামের পর গ্রাম। ভেঙে যাওয়া রাস্তাগুলোর মেরামত না করায় যাতায়াতের চরম দুর্ভোগে পড়েছে জেলার সাঘাটা উপজেলার মানুষ। ছাত্রছাত্রী সময় মতো বিদ্যালয়ে পৌঁছাতে পারছে না। যান চলাচলের অসংখ্য রাস্তা এখনো অনুপযোগী।
স্থানীয় লোকেরা স্বেচ্ছা শ্রমে বাঁশের সাঁকো তৈরি করেছে। কোনোমতে পায়ে হেঁটে যাতায়াত করছেন তারা। সরকারিভাবে এখনো শুরু হয়নি এসব রাস্তা কাজ।
শিক্ষার্থী শিমু বলেন, বন্যার পানিতে রাস্তা ভেঙে গেছে। স্কুল যেতে আমাদের অনেক কষ্ট হয় । সাঁকো না থাকলে আমরা স্কুলে যেতে পারতাম না। আগে ৫ টাকা হলে স্কুল পৌঁছে যেতাম। এখন দ্বিগুণ টাকা লাগে স্কুল যেতে।
বোনারপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়ারেছ প্রধান জানান, মানুষের চলাচলের জন্য এলাবাসি মিলে নিজেদের চেষ্টায় বাঁশ, কাঠ দিয়ে প্রাথমিক যাতায়াতের সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। এই সব মেরামতের জন্য এখনো সরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ আসেনি।
সরকারি হিসাবে জানা যায়, এবার বন্যায় সাঘাটা উপজেলায় পাকা রাস্তার ২৫০ কিলোমিটার মধ্যে ৫০ কিলোমিটার বন্যায় ভেঙে গেছে। এলাকায় সম্পূর্ণভাবে ১০টি ব্রিজ ভেঙে গিয়ে রাস্তার সাথে বিচ্ছিন্ন হয়েছে রয়েছে। এসব ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলোর তালিকা করে সংশ্লিষ্ট বিভাগে দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের সংসদ সদস্য ও অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া জানান, ইতোমধ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলোর মেরামত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী অক্টোবরের মধ্যেই রাস্তার কাজ শুরু হবে।
এ দিকে ভেঙে পড়া রাস্তা, ব্রিজগুলোর পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ এমনটাই আশা করছে স্থানীয়রা।
ওডি/এমবি
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড